মৃত্যুর প্রহর গুনি
আলমগীর হোসেন
অনেক বছর পূর্বে দুর দেশে
কর্মের ফাঁকে ফোন ধরতেই
তোমাদের মৃত্যুর খবর শুনে
আপন ভুবনে কেয়ামত উঠে।
এমন শোক সহিবার মতো নয়
ধ্বংসের বিভীষিকা ছুঁয়েছে হৃদয়
হারিয়েছে মোর আপনার আপন
অনন্ত অন্ধকারে ডুবে গেছে জীবন।
আর কতো দূর গহীন সে গন্তব্য
কোন সে ঠিকানা জানা নেই মোর
পেরিয়ে গেলো কতো মহাকাল
নিরাশায় দুখের দহনে পুড়ে অন্তর।
সরাব পানে ডুবে থাকি সদা
মাতাল হয়ে পাগল বেশে রই
জগতের মায়া কেড়ে নিলো রব
কেমন করে বেঁচে থাকি বলো!
আঁধার ঘুছিয়ে আলোর দ্যুতি
ছড়াবে না আর কোন কালে
সকল আশার স্বপ্ন সাধ পূরণ
আমার মৃত্যুতে পূর্ণতা পাবে।
শুঁয়া ইয়ে রেখেছি জন্ম ভূমির
কোমল মাটির উদরে তোমাদের
হাম্মাদিয়া দীঘির ঝোপের পাড়ে
জীবনের অর্জিত অমূল্য সম্পদ।
মৃত্যুর প্রহর গুনি প্রতি রোজ
তোমাদের মতো করে আসুক
বরযাক জীবন হয়ে কেয়ামত
বেহেশতের জীবন প্রত্যাশা মোর।
ঠিকানা বিহীন জন মানবহীন
কোন সে বন্দরের নীরব নগরে
তোমাদের আত্মার শান্তি কামনায়
প্রতি রোজ ডুবে থাকি নেশার জগতে।
একই কথার পুনরাবৃত্তির ছলে
বুকের ভেতর জড়িয়ে আছো
স্মৃতির দহনে মন পুড়ে ভস্মীভূত
নিরাশায় নিষ্কাম অচল অসার।
যানবাহনে চলা চলের রাস্তায়
দূর্ঘটনার স্বীকার প্রাণ সংহার
নির্মম নিষ্ঠুরতম রক্তাক্ত প্রান্তরে
স্রষ্টার একছত্র অধিপত্যে ধরাশায়ী।
নিষ্পাপ শিশু পুত্র ঘুমিয়ে আছে
ওর মার পাশে আড়াআড়ি ভাবে
জোড়া কবরের শান্তি কামনায়
নিজের মৃত্যু চেয়ে নিলাম রবের কাছে।
আত্মীয় স্বজন চেনা জানা অনেকে
স্মৃতির দংশনে পাগল বলে মোরে
এই পাগলের প্রেমময়ী ইতিহাস
স্বর্ণাক্ষরে রচিত হবে সময়ের বিবর্তনে।
আমাকে ডেকে না-ও ওদের মতো
কঠিন হাশরের দিনে বিচার করো
ভালোবাসার সাথীদের সাথে দিও
কৃতকর্মের ভুল মাথা পেতে নেবো।