অনুক্ষণ

অনুক্ষণ


আব্দুছ ছালাম চৌধুরী 

এতো অভিমান—
নিকষ ভূতূড়ে রাতেও ঘুঙুরু বাজে 
মাঝে মাঝে ওই আকাশটাও ঘোলাটে হয়। 
কিছু প্রত্যাশা তোমার প্রতিও
অনুক্ষণে যদি হাসিমুখে থাকতে । 
অন্যথায়—
দু'হাতের স্পর্শে মান ভাঙিবার প্রয়াসটুকুই করতাম।
জানো—
বরুণ গাছের ডালে কে যেনো ক্ষণে ক্ষণে বিরহের করুন সুরে ডাকে?
তুমি কি তাকে ছিনো? 
হিমেল বাতাসে কানে এলো তার ভগ্নহৃদয় ভরা আকুতি ।
কেঁদে কেঁদে প্রকাশ করতে চেয়েছিলো ভালোবাসা না পাওয়ার বেদনা।
আমিও—
আমার শত ব্যস্ততায়, আড়ালে ওঁৎ পেতে রইলাম তাকে জানতে
তাকে সৌহার্দ্য, সহমর্মিতা প্রকাশ করতে! 
নিস্তব্ধ নিকষ রাতের ওই আকাশে। 
শেষার্ধে একটি বার্তা পৌঁছে দিলাম, অনুক্ষণে ছুঁয়ে যাও আমার এই হৃদপিণ্ড। 
দিবালোকে তুচ্ছ ও জ্ঞান পন্ডিতের অভাব হয় না
অনেক কিছুই সহজপাঠ্য। 

১৬/৯/২০২১ খ্রীস্টাব্দ/লন্ডন"