অভাব
ফাতেমা ইসরাত রেখা
বিশ্বস্ত ছলনা থাকে বিশ্বাসে,অজুহাত থাকে চোখে
রুমালে অজুহাত থাকে নিবিড় বন্ধনে জড়িয়ে চুপে
এই শহরের ধুলোয় মিশে থাকে কিংবা বিজ্ঞাপনে
ছলনার জাল বিছানো থাকে বিশ্বাসের ক্ষতে।
সামান্য জ্ঞান নিয়ে মাছি উড়ে খাবারের গন্ধে রোজ
আসলে সময় বড় সংকীর্ণ, মেধার বিকাশে গভীরতা ভীষণ দুর্লভ
তৃষ্ণার্ত মন অযথা হাহাকার করে যোগ্যতাহীন স্বপ্নের ঘেরাটোপে।
আমরা আসলে নিজেদের কতটা বা যাচি!
সময়ের দায় কিছু নয়, হিংসার আগুনে পুড়ে অকারণ
আমরা তো নিজেদের পঁচে যাওয়া দেখতেই বেঁচে আছি।
আজ যদি গভীরতা খুঁজতে যাই
অজ্ঞতা উপলদ্ধি হবে না খুব জানি, তবুও
দূরত্ব ছিটিয়ে রাখার দায়ে আরো কিছুদিন
আরও কিছু শতাব্দী এই শহরের অপূর্ণতায় বেঁচে থেকে
আরো কিছু প্রশ্নের হতে হবে সম্মুখীন।
জানিনা সেসব প্রশ্নের আছে কিনা কোনো উত্তর
মানুষের হিংসারা অহেতুক আক্ষেপ ছেড়ে মুক্তিতে
লিখাবে কিনা নাম প্রেমের আনন্দে হারাতে একবার।
দূষণের দুর্গন্ধ ছড়ায় বাতাসে,স্বার্থের নিঃশব্দ নিঃশ্বাস কিংবা
গোপন হঠকারিতা সম্পর্কে ফাটল ধরায়
এতটা বিভেদ আমাদের মননে, ভাবতেই মন ভারী হয়ে যায়।
এতসব অট্টালিকা,সারি সারি সুরম্য ভবন শহরের বুক জুড়ে
তবুও ঘরহীন মানুষেরা নিত্য ক্ষুধা মিটিয়ে নেয় ফুটপাতে,
ভাগ্যিস ফুটপাত ছিলো তাই মিলছে ওদের ঠাঁই
নতুবা ঘরের দুঃখে কতজন মরে যেতো!
কারো দু'মুঠো ভাতের হাহাকার, আর কারো বা ক্ষমতা, খ্যাতি, জশ
মানুষের লোভ বড় ভয়ানক ব্যাধি জগতে।
গোটা শহরটা তাই জ্বালিয়ে দিতে ইচ্ছা হয় ভীষণ মাঝে মাঝে
বুকের কফিনে প্রখর রৌদ্রে পোড়ানো অজুহাতের রুমাল
একাই জ্বলে, একাই পোড়ে, একাই কষ্টের অনুকূলে ঘুমায় বারোমাস।
এই শহরের মানুষের অভাবের যন্ত্রণা তবুও এক আকাশ।