আজ আমি ভীষণ স্মৃতিকাতরতায় আচ্ছাদিত! 

আজ আমি ভীষণ স্মৃতিকাতরতায় আচ্ছাদিত! 

অপুর্ব শর্মা

লন্ডনে টাওয়ার হেমলেটস কাউন্সিলের আয়োজনে নভেম্বর মাস ব্যাপী সিজন অব বাংলা ড্রামায় ছান্দসিকের আয়োজন - চা বাগানে গণহত্যা ১৯৭১ গ্রন্থ থেকে বর্ণনা পাঠ ও ডিসকাশন অনুষ্ঠানে গেস্ট স্পীকার হিসেবে অংশগ্রহণ করেছিলাম গত বছরের আজকের দিনে। দেখতে দেখতেই কেটে গেছে একটি বছর। সেদিনের কথা মনে পড়ায়, আজ আমি ভীষণ স্মৃতিকাতরতায় আচ্ছাদিত! 
টেমস পাড়ের কবি নজরুল সেন্টারে যেনও সেদিন নেমে এসেছিলো একাত্তরের বাংলাদেশ। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে সীমান্তবর্তী চা বাগানে হায়নাদের বর্বরতার কথা শুনে সেদিন চোখের জল ফেলেছিলেন অংশগ্রহণকারীদের সবাই। ছান্দসিক প্রতিষ্ঠাতা মুনিরা পারভীনের পরিকল্পনা, ঐকান্তিকতা এবং ছান্দসিক পরিবারের সদস্যদের সর্বাত্মক সহযোগিতায় অনুষ্ঠানটি হয়েছিলো সাফল্যমন্ডিত। প্রবাসে অনুষ্ঠানগুলিতে সাধারণত শীতের সময় দর্শক সমাগম তেমন একটা হয়না, এতকাল শুনে আসা কথাটি চোখের সামনে ভুল প্রমান হতে দেখেছিলাম সেদিন। আর তা সম্ভব হয়েছিলো মুনিরা পারভীনের সাংগঠনিক দক্ষতায়। সেদিন বিলেতে বাঙালি কমিউনিটিতে ৪টি বড় অনুষ্ঠান থাকা সত্বেও পূর্ণ ছিলো কবি নজরুল সেন্টার। সাহিত্য-সংস্কৃতি অঙ্গনের প্রথম সারির অনেকেই  এসেছিলেন অনুষ্ঠানে অংশ নিতে। মুক্তিযুদ্ধের প্রতি যুক্তরাজ্যে বসবাসকারী বাঙালিদের আবেগ এবং দায়বদ্ধতা দেখে মুগ্ধ হয়েছিলাম সেদিন। প্রবাসেও যে জেগে আছে বাংলাদেশ তারই প্রমান আরও একবার পেয়েছিলাম এই অনুষ্ঠানের মাধ্যমে। সেদিন এমন আয়োজনে অংশগ্রহণের সুযোগ করে দেওয়ায় টাওয়ার হ্যামলেটস কতৃপক্ষ, ছান্দসিক এবং মুনিরা পারভীনের প্রতি আবারো কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। ভালোবাসা জানাচ্ছি ছান্দসিকের প্রতিটি সদস্য এবং অনুষ্ঠানে অংশ নেওয়া সকলের প্রতি। আমি গভীরভাবে বিশ্বাস করি, করোনাকাল কেটে যাবে শীগগীর। আমাদের দেখা হবে আবারও। ঠিক যেভাবে দেখা হয়েছিলো, সেভাবে! সেই পর্যন্ত সবাই সুস্থ থাকুন, ভালো থাকুন। শুভকামনা সকলের জন্য।