আমেরিকা থেকে সরকার খালি হাতে ফিরেছে: মির্জা ফখরুল

বাংলাভাষী ডেস্ক::

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সরকারকে দ্রুত পদত্যাগের আহ্বান জানিয়ে বলেন, তালবাহানা করে জনরোষ থেকে পার পাবেন না। তিনি বলেন, সরকারের অধীনে নির্বাচনের না যাওয়ার বিষয়ে অটল থাকতে হবে৷ আমেরিকা থেকে সরকার খালি হাতে ফিরেছে। বহু চেষ্টা করেও নিষেধাজ্ঞা তুলে নিতে পারেনি তারা। আবারও বিনা ভোটের ক্ষমতায় যাওয়ার চেষ্টা করছে।

বৃহস্পতিবার (৫ অক্টোবর) দুপুরে কুমিল্লার সুয়াগাজিতে দ্বিতীয় পথসভায় এসব কথা বলেন বিএনপি মহাসচিব।

গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি মধ্যেই সরকার পরিবর্তনে কুমিল্লা থেকে চট্টগ্রাম পর্যন্ত এই রোড মার্চে ৫-৬টি পথসভা করার কথা রয়েছে। এক দফা দাবি আদায়ে এটি বিএনপির শেষ রোড মার্চ৷ কুমিল্লার কালাকচুয়ায় সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যমে বেলা পৌনে ১১টায় শুরু হয় দিনের কর্মসূচি। বৈরি আবহাওয়ার মধ্যেও নেতা-কর্মীরা অনুষ্ঠানে জড়ো হন নির্দিষ্ট সময়ের আগে৷ সরকারের পদত্যাগের দাবিতে নানা স্লোগান দেন তারা। ওই এলাকার মনোনয়ন প্রত্যাশী নেতাদের ব্যানার, ফেস্টুন, প্ল্যাকার্ড ছাড়াও কোথাও কোথাও তোরণও চোখে পড়েছে। বিএনপি মহাসচিব বলেন, আমাদের নেতা-কর্মীদের ওপর মিথ্যা মামলার সংখ্যা প্রতিদিন বাড়ছে। রাজপথ দখল করে এসবের ফয়সালা করতে হবে।

তিনি অভিযোগ করে বলেন, সরকার বেগম খালেদা জিয়াকে চিকিৎসা নেওয়ার সুযোগ দিচ্ছে না। তারা আসলে আমাদের নেত্রীকে মেরে ফেলতে চায়। তারা ভোট চুরি করে আবারও ক্ষমতায় আসতে চায়। সেটা আমরা হতে দেবো না। সুয়াগাজির পথসভা শেষে দলীয় ও জাতীয় পতকা হাতে কয়েক শো গাড়ি যোগে ছুটে চলে রোড মার্চ। নেতা-কর্মীরা পিকআপ, মিনিবাস, মাইক্রোবাস, মিনি ট্রাক, মোটরসাইকেলে রোড মার্চে অংশ নেন। হাত নেড়ে পথে পথে স্থানীয় নেতা-কর্মীদের অভিবাদনের জবাব দেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলামসহ কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ। বিএনপির আজকের রোড মার্চ ফেনী, মিরসরাই এবং সীতাকুণ্ডের ভাটিয়ারিতে পথ সভা শেষে চট্টগ্রামে গিয়ে শেষ হবে। চট্টগ্রামে সমাবেশের ব্যাপারে শঙ্কা থাকলেও গতকাল বিকেলে পুলিশ অনুমতি দেয়। তবে বিএনপির চাহিদা অনুযায়ী কাজীর দেউড়িতে পায়নি৷ একটু দূরে আউটার রোডে পুলিশ অনুমতি দিয়েছে বলে জানান চট্টগ্রাম বিএনপির আহ্বায়ক ডা. শাহাদাৎ হোসেন।

সুয়াগাজির পথসভায় আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, দলের ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান, বরকত উল্লাহ বুলু, প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মনিরুল হক চৌধুরী, সাংগঠনিক সম্পাদক মোস্তাক মিয়া, সমাজসেবা বিষয়ক সম্পাদক কামরুজ্জামান রতন ও বিএনপি চেয়ারপারসনের প্রেস উইং সদস্য শামসুদ্দিন দিদারসহ আরও অনেকে।