উদ্ভাবন সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান ১০২

বাংলাভাষী ডেস্ক :

০২২ সালে উদ্ভাবন সূচকে ১৪ ধাপ এগিয়ে বাংলাদেশের অবস্থান ১০২তম। তবে প্রতিবেশী রাষ্ট্রগুলোর চেয়ে বেশ পিছিয়ে বাংলাদেশ। এই সূচকে ভারতের অবস্থান ৪০, শ্রীলঙ্কা ৮৫ ও পাকিস্তান ৮৭তম। শুধু নেপাল ১১১তম অবস্থান নিয়ে বাংলাদেশের চেয়ে পিছিয়ে রয়েছে।

এশিয়া মহাদেশে ইন্দোনেশিয়া ও কম্বোডিয়ার অবস্থান যথাক্রমে ৭৫ ও ৯৭তম।

জাতিসংঘের ওয়ার্ল্ড ইন্টেলেকচুয়াল প্রোপার্টি অর্গানাইজেশন (ডাব্লিউআইপিও) এই উদ্ভাবন সূচকে প্রকাশ করে। যেখানে ২০২১ সালে বাংলাদেশের অবস্থান ছিল ১১৬তম। ১৩২টি দেশের শিক্ষাব্যবস্থা, গবেষণা, মানবসম্পদ ও ব্যবসা-বাণিজ্যের পরিশীলনের ওপর ভিত্তি করে এই সূচক করা হয়।

সূচকে ৬৪.৬ স্কোর নিয়ে প্রথম অবস্থানে রয়েছে সুইজারল্যান্ড। এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশ পেয়েছে ১৯.৭ নম্বর। ডাব্লিউআইপিওর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের এই স্কোর উন্নয়নের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ। বাংলাদেশ সবচেয়ে ভালো করেছে সৃজনশীল উপসূচকে। এই খাতে বাংলাদেশের উন্নতি হয়েছে ৩৬ ধাপ। এ ছাড়া প্রতিষ্ঠান উপসূচকে বাংলাদেশ ১৩ ধাপ এগিয়ে ১০৯ এ উঠে এসেছে। মানবসম্পদ গবেষণায় এক ধাপ এগিয়ে ১২৮ থেকে ১২৭ এসেছে। অবকাঠামোতেও এক ধাপ এগিয়েছে বাংলাদেশ।

সম্প্রতি খবর পাওয়া গেছে, ফরিদপুরের হাবিবুর রহমান ইমরান এমন একটি গাড়ি তৈরি করেছেন, যা জল ও স্থলে সমানভাবে চলতে পারে। ভোলার রাজু উদ্ভাবন করেছেন জ্বালানিবিহীন মোটরসাইকেল। বগুড়ার আমির হোসেন তৈরি করেছেন জ্বালানিবিহীন গাড়ি। দাবি করা হয়েছে, মাত্র ২৫ টাকার কার্বন খরচ করে তার গাড়ি টানা ৮ ঘণ্টা চলবে। যাত্রী ও মালামালও বহন করতে পারবে তার গাড়িটি। এগুলো ছাড়াও বিদ্যুৎ ছাড়া বাল্ব জ্বালানো, মোবাইল নিয়ন্ত্রিত হুইলচেয়ার তৈরিসহ নানা ধরনের প্রযুক্তি উদ্ভাবন করেছেন বাংলার তরুণ-যুবকরা।

বিশ্লেষকরা বলছেন, উদ্ভাবনে বাংলাদেশ ভালো করছে। উদ্ভাবনের পর বাণিজ্যিকভাবে উৎপাদনে নিয়ে যাওয়ার কোনো উদ্যোগ নেই। একই সঙ্গে উদ্ভাবনের মেধাস্বত্ব নিয়েও কেউ কাজ করে না। বাণিজ্যিকভাবে উৎপাদন করে মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়া হয় না, ফলে নতুন উদ্ভাবনে উৎসাহ কম। এসব কারণেই বাংলাদেশ উদ্ভাবনে বিশ্বের সঙ্গে তাল মেলাতে পিছিয়ে পড়ছে।