উন্নয়ন কোনোভাবেই গণতন্ত্র ও মানবাধিকারের ঊর্ধ্বে নয়: পিটার হাস

বাংলাভাষী ডেস্কঃঃ

উন্নয়ন ও নিরাপত্তা কোনোভাবেই গণতন্ত্র ও মানবাধিকারের ঊর্ধ্বে স্থান পেতে পারে না বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকায় নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পিটার হাস।

রবিবার (৫ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর ইএমকে সেন্টারে ‘বাংলাদেশে অনলাইন স্বাধীনতা ও ব্যবসায় বিনিয়োগ’ শীর্ষক এক অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রদূত এ মন্তব্য করেন।

এই মূল্যবোধগুলো আসলে পরস্পর সম্পর্কযুক্ত ও একে-অন্যকে শক্তিশালী করে উল্লেখ করে মার্কিন রাষ্ট্রদূত বলেন, মানবাধিকারের সুরক্ষা এবং গণতন্ত্র সমুন্নত রাখা একটি দেশের অর্থনীতিকে শক্তিশালী ও টেকসই করে এবং সমৃদ্ধি নিয়ে আসে।

প্রায় এক বছর আগে বাংলাদেশে আসার পর থেকে আমি বাংলাদেশের ডিজিটাল যুগে দ্রুত গতিতে এগিয়ে যাওযা দেখে মুগ্ধ হয়েছি এমন অভিব্যক্তি জানিয়ে পিটার হাস বলেন, এটা আমার কাছে স্পষ্ট যে এই শতকে ডিজিটাল বিশ্বে বাংলাদেশ, স্মার্ট বাংলাদেশ হিসেবে ভূমিকা পালন করতে চায়।

অনলাইন বিশ্ব আমাদেরকে প্রচুর সুযোগের পাশাপাশি বড় ধরনের চ্যালেঞ্জের মুখোমুখিও করেছে এমন মন্তব্য করে মার্কিন রাষ্ট্রদূত বলেন, বিশ্বের সব জায়গাতেই সরকারকে অবশ্যই অনলাইন ও এর সঙ্গে যুক্ত থাকা ব্যবহারকারীর ডেটাকে দায়িত্বশীলতার সঙ্গে পরিচালনা করার পাশাপাশি মানুষের মত প্রকাশের স্বাধীনতা রক্ষা করায় সচেষ্ট থাকতে হবে। কারণ, সমালোচনা গ্রহণ করার সক্ষমতা এবং অপ্রীতিকর বক্তব্য হলেও বাকস্বাধীনতা নিশ্চিত করা শক্তিশালী গণতন্ত্রের বৈশিষ্ট্য।

যুক্তরাষ্ট্র সরকারের দিক থেকে বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন রেগুলেটরি কমিশন এবং তথ্য মন্ত্রণালয়ের ডিজিটাল, সোশ্যাল মিডিয়া এবং ওভার-দ্য-টপ প্ল্যাটফর্মগুলোর জন্য প্রণীত প্রবিধানগুলোর পাশাপাশি খসড়া ডেটা সুরক্ষা আইন নিয়ে উদ্বেগ রয়েছে জানিয়ে পিটার হাস বলেন, কারণ আমরা যেহেতু বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে আমাদের অংশীদারিত্বকে মূল্য দেই তাই আমরা আমাদের উদ্বেগের কথা সরকারের কাছে সরাসরি তুলে ধরেছি।