কর্মে গুণে গুণী

কর্মে গুণে গুণী

আব্দুছ ছালাম চৌধুরী 

শাস্ত্র গুণে যারা গুণী,তারা শাস্ত্র পণ্ডিত বলে বিবেচ্য,

তারা পরকালের, পরমানন্দের কথা বলে-

স্বর্গের হুর-পরীদের কথা বলে—

তাদের সংস্পর্শে

পৃথিবীর মোহ মায়া একেবারেই তুচ্ছ।

তারা স্রষ্টার গুণকীর্তন করে

আহাজারি করে দিবানিশি,

তারা প্রার্থনা'কে এবাদত মনে করে

পার্থিব কর্মকে,পথভ্রষ্ট বলে,করে হাসিহাসি। 

অথচ— 

একজন ক্ষুধার্ত মানুষের মুখে যদি দাও আহার,

আত্মতুষ্টিতে-

ফেরেস্তাদের সাক্ষ্য করেন স্রষ্টা বারংবার। 

একজন গৃহহীন মানুষের জন্য যে করে গৃহনির্মাণ, 

আরশে আজীমে তার জন্য হবে পুষ্পেরবিতান।

এহেন ইবাদাত, 

কয়জন করে— বিশ্বব্রহ্মাণ্ড জুড়ে—

কতো লোক অনাহারে ছায়াহীন কাটায় দিনরাত। 

আমি বলি না, তুমি স্রষ্টা বিমুখ হও,

আমি বলি তুমি মানবিক হও —

আর যতো বিরাগী আছে,সজ্জন বলে থাকে কাছে 

যারা কর্ম বিমুখী — সহসাই হাঁকে নীতিবাক্য

তারা বঞ্চিত—

সীমাহীন সুখ বার্তা হতে লাঞ্ছিত— 

যেই ধনীরা সহায় সম্বলহীনদের করো তাচ্ছিল্য, 

জেনে রাখো—

মানুষের মঙ্গলের যতো কাজ,এতে স্রষ্টা হয় প্রফুল্ল।