গুলিস্তানের বিস্ফোরনে আরো এক জনের মৃত্যু

বাংলাভাষী ডেস্ক :

রাজধানীর গুলিস্তানের ফুলবাড়িয়ায় সাততলা ভবনে বিস্ফোরণের ঘটনায় দগ্ধ মির্জা আজম (৩৬) মারা গেছেন। এতে করে এ বিস্ফোরণের ঘটনায় এ পর্যন্ত ২৪ জনের মৃত্যু হলো।

শনিবার সকাল পৌনে দশটায় শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।

গত মঙ্গলবার বিকেল পুরান ঢাকার সিদ্দিকবাজারের একটি সাততলা ভবনের বেজমেন্ট থেকে দ্বিতীয় তলা পর্যন্ত ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। বিস্ফোরণে আজ শনিবার পর্যন্ত ২৪ জন নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে বৃস্পতিবার দুপুরে ভবনের বেজমেন্টের দক্ষিণ পাশের সিঁড়ির নিচ থেকে মেহেদী হাসান নামে এক ব্যবসায়ীর লাশ উদ্ধার করেছেন ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা। রাত সাড়ে আটটার দিকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান আরাফাত ইয়াসিন নামের আরও একজন। তিনি ভবনে থাকা একটি স্যানিটারি দোকানের কর্মী ছিলেন। বিস্ফোরণে আহত হয়েছেন শতাধিক ব্যক্তি। এর মধ্যে এখনো চিকিৎসাধীন আছেন ২৩ জন।

সাততলা ওই ভবনের নিচতলায় স্যানিটারি দোকান, দ্বিতীয় তলায় ব্র্যাক ব্যাংকের অফিস এবং তিন ও চারতলায় আবাসিক ভবন। এ ছাড়া ওই ভবনের পাশের আরেকটি সাততলা ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সাততলা ভবনের ৪, ৫, ৬ ও ৭ তলা আবাসিক ভবন। এই সাততলা ভবনেও বিস্ফোরণ হয়ে থাকতে পারে জানিয়েছে পুলিশ।

এদিকে মঙ্গলবার মধ্যরাতে আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল থেকে পরিবারের কাছে নিহতদের মরদেহ হস্তান্তর করেন অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ঢাকা একেএম হেদায়েতুল ইসলাম।

মরদেহ হস্তান্তরের সময় জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিহতদের প্রত্যেক পরিবারকে ৫০ হাজার টাকা করে সহায়তা দেয়া হয়।

এর আগে, রাতেই জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মমিনুর রহমান জানিয়েছিলেন, জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাৎক্ষণিকভাবে ক্ষতিপূরণ দেয়া হচ্ছে। আর্থিক সহায়তা, চিকিৎসা সহায়তা ও খাদ্য সহায়তা থেকে শুরু করে স্বজনদেরও সব ধরনের সহায়তা দেয়া হবে।

তিনি জানান, ঢাকা মেডিকেল কলেজের সামনে সিদ্দিক বাজার বিস্ফোরণে জেলা প্রশাসনের সহায়তা বুথ বসানো হয়েছে। এ বুথ থেকে নিহতদের তাৎক্ষণিক ৫০ হাজার টাকা, গুরুতর আহতদের ২৫ হাজার, সামান্য আহতদের ১৫ হাজার আর্থিক সহায়তা দেয়া হচ্ছে। আমাদের টিম কাজ করছে। যতক্ষণ পর্যন্ত প্রয়োজন বুথ থাকবে।