ছোট প্রবন্ধ 

ছোট প্রবন্ধ 

মোঃ হাবিবুর রহমান 

রা‌তের নিঃস্তব্ধতায় মানু‌ষের চিন্তাশ‌ক্তি বা‌ড়ে। রা‌তের গভীরতা যখন ক্রমশঃ বেড়ে যায় তখন ম‌ানু‌ষের ম‌ন থা‌কে শান্ত আর একান্ত ধ‌্যা‌নে সে মশগুল হ‌য়ে মনপ্রাণ নিবিষ্ট ক‌রার সু‌যোগ পায়। 

চারদিকে শুন-শান নিস্তব্ধতা আর নীরাবতার মা‌ঝে শুধুমাত্র নীল ন‌ভো‌তে তারা ছাড়া বাকী গ্রহগু‌লি যেন একরকম অ‌ঘো‌ষিত ছ‌ু‌টি কাটা‌তে ব‌্যস্ত থা‌কে। 

এ‌হেন এক চমৎকার প‌রি‌বে‌শে হাজার স্মৃ‌তিরা এ‌সে মানু‌ষের ম‌নে ভীড় জমানোর সা‌থে সা‌থে যেন বিস্মৃত স্মৃ‌তিদেরও অঙ্কুর ডালাপালা গজা‌নো শুরু ক‌রে দেয়।

মহান সূফী কবি রুমি ব‌লেন, "কেবল প্রবাহমান জল শান্ত হয়ে যায় এবং সূর্য ও চাঁদ আপনার সত্তার প্রতিচ্ছবি ঘটবে। “

মানুষ যখন নীরব থাকে কেবলমাত্র তখনই সে কা‌ঙ্খিত উচ্চমাত্রার জ্ঞান, চিন্তাশক্তি তথা উপলব্ধির দ্বার উ‌ন্মো‌চন করতে পারে।         

এজন্যই হয়তবা প্রায় সব ধ‌র্মের মানু‌ষেরাই সৃ‌ষ্টিকর্তার কাছে প্রার্থনা করাকালীন সময় নীরব থাকে। গোলমাল বা সরগো‌লে মানুষ ধ‌্যানচ‌্যুত হয় ও একাগ্রতাকে নষ্ট ক‌রে।

কেবলমাত্র যারা জানেন তারা কেবল মানুষের মু‌খ হ‌তে উচ্চা‌রিত শব্দগুলি নয় বরং তার নীরবতা বুঝতে সক্ষম হ‌বে। এছাড়া সব ধর‌নের সৃজনশীলতা নীরবতা থেকেই আসে, এটা প্রমা‌ণিত সত‌্য।

নীরব থেকে মানু‌ষেরা এ পৃথিবীতে সৃষ্ট বড় বড় ও জ‌টিল ঝা‌মেলা তথা সমস‌্যা থে‌কে নিজ‌কে মুক্ত রাখতে পারে। একইসা‌থে তারা পা‌রে বড় কিংবা ছোট নতুন কিছুর উৎপাদন বা সৃ‌ষ্টি দেখ‌তে।  

নিঃশব্দে কঠোর পরিশ্রম করার মাধ‌্যমেই অনায়া‌সে সাফল‌্য অর্জন পূর্বক মানুষ স্রষ্টার খুব কাছাকা‌ছি পৌঁ‌ছে যে‌তে পা‌রে। একইস‌ঙ্গে নিজ সত্তা‌কেও মানুষ দ্রুত আ‌বিষ্কার কর‌তে সক্ষম হয়।