ছোটবেলার স্বপ্ন

ছোটবেলার স্বপ্ন

জয়  জ্যোতির্ময়

হাঁটতে হাঁটতে পা দুটো ক্লান্ত হ'য়ে গেছে। পায়ের সাথে ক্লান্ত হয়েছে শরীর। আর শরীরের সাথে মনও। একলা পথে, একা হাটঁতেছি। কোনো ঘর নেই, মানুষ নেই। একেবারে নিস্তব্ধ। মানুষের শূন্যতা বৃক্ষ পুষিয়ে দিয়েছে। নাম না জানা হাজারও বৃক্ষও চোখের সামনে পিছে ডানে বামে। মাঝে মধ্যে পাতার মর্মর শব্দ শুনি। হলুদ পাতা ঝরে পড়ার শব্দও আসে কানে। পাতা কেনো ঝরে যায়, এ নিয়ে কখনোই প্রশ্ন আসেনি মনে। পাতাগুলো বিলি দিয়েও চাঁদের আলো চোখে আসে প্রকোপ শীতের রাতে। হাড় কাঁপুনি শীতের রাতে। যখনই চাঁদ মেঘের আড়ালে লুকিয়ে পড়ে, থেমে যায় আমার হৃদপিণ্ড। কোনো এক অজানা ভয়ে। ভয় তো ভয়ই। এই নির্জন পথে আন্ধার রাতে একলা হাঁটা তো চাট্টিখানি কথা নয়। মনের ভেতর এক অজানা ভয় কাজ করেই। তবুও হাঁটছি। অজানা গন্তব্যে। হঠাৎ অনুভব করলাম, কে যেন আমার পিছে পিছে হেঁটে আসছে। আমি দাঁড়ালে সেও দাঁড়ায়। একটু ভয়ে বুকে তিনবার থু থু দিলাম। তারপর চোখ বন্ধ করে একদৌড়। আমার পথ শেষ হয় না। পা আর চলে না। হঠাৎ প্রচন্ড প্রস্রাবে চাপ দিলো। আমিও ঝুপড়িঝাড়ে গিয়ে প্রস্রাব করবো, এমন সময় স্বপ্ন ভেঙে গেল!