জন্ম মাটিতে ঘুরে গেলেন সমশের মবিন

বাংলাভাষী ডেস্ক :

গত ১৬ অক্টোবর সমশের মবিনকে  বিয়ানীবাজার  গোলাপগঞ্জে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করে বিএনপি।  দুই্ উপজেলায় বিক্ষোভ করে তার কুশপুত্তলিকা দাহ করে। আর ঠিক এক সপ্তাহ না পেরুতেই জন্মমাটি ঘূরে গেলেন  তিনি।  নিজের এলাকায় এসে বিভিন্ন পূজামণ্ডপ পরিদর্শন করলেন। তবে নির্বাচন করবেন কিনা কিছুই বললেন না তিনি।

একটি স্যাটেলাইট টেলিভিশনে এ্যাডিটরস, গিল্ড নামের একটি অনুষ্ঠানে বক্তব্য দিয়ে এবার আলোচনায় আসেন সমশের মবিন । চৌধুরীর একটি বক্তব্যের নিন্দা জানিয়ে সেটিকে ‘মিথ্যাচার’ আখ্যা দিয়ে ১৬ অক্টোবর বিয়ানীবাজার ও গোলাপগঞ্জ উপজেলা বিএনপি পৃথকভাবে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করে। এ সময় সমশের মবিনকে দলটির নেতারা দুই উপজেলাতেই অবাঞ্ছিত ঘোষণার পাশাপাশি কুশপুতুল দাহ করেন। এ সময় সমশের মবিনকে তাঁর বক্তব্য প্রত্যাহারেরও আহ্বান জানানো হয়।

গত শনিবার এ ঘটনায় সংবাদ সম্মেলন করেন সিলেট জেলা বিএনপির সাবেক সহসভাপতি ও একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সিলেট-৬ (বিয়ানীবাজার ও গোলাপগঞ্জ) আসনে বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশী ফয়সল আহমদ চৌধুরী। তাঁর অভিযোগ, সম্প্রতি একটি টেলিভিশন চ্যানেলের আলোচনায় অংশ নিয়ে সমশের মবিন চৌধুরী বিএনপি ও তাঁর (ফয়সল) সম্পর্কে বিভ্রান্তিকর ও মিথ্যা তথ্য উপস্থাপন করেছেন। সমশেরের সঙ্গে তাঁর (ফয়সল) ফোনালাপের বিষয়টি অসত্য।

রোববার রাতে সমশের মবিন চৌধুরী গোলাপগঞ্জ উপজেলার ঢাকাদক্ষিণে শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভুর মন্দিরে দুর্গামণ্ডপ পরিদর্শন করেন। তাঁকে স্বাগত জানান শ্রীচৈতন্য মন্দির পূজা উদ্‌যাপন পরিষদের সদস্যরা। এ সময় তাঁর সঙ্গে তৃণমূল বিএনপির সিলেট জেলা শাখার আহ্বায়ক এম এ হান্নান, গোলাপগঞ্জ উপজেলা শাখার আহ্বায়ক সানাউল হক প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। পরে সমশের মবিন গোলাপগঞ্জের ভাদেশ্বর খমিয়াপাতন সর্বজনীন পূজামণ্ডপ এবং বিয়ানীবাজার উপজেলার কয়েকটি মণ্ডপ পরিদর্শন করেন। এসময় তার নিরাপত্তায় সঙ্গে পুলিশ ছিলো বলে জানান স্থানীয় লোকজন। 

পূজামণ্ডপ পরিদর্শনকালে সমশের মবিন চৌধুরী বলেন, এ দেশের মানুষ সব সময় অসাম্প্রদায়িক চেতনায় বিশ্বাসী। এ দেশে কোনো ভেদাভেদ নেই। জাতি–ধর্ম–বর্ণ কোনো বিভাজন নেই। এ দেশ হলো গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র। সবার রয়েছে সমান অধিকার। এ দেশ হলো সব মানুষের। 
সমশের মবিন চৌধুরীর বাড়ি সিলেটের গোলাপগঞ্জ উপজেলার ভাদেশ্বরে।একসময় তিনি পররাষ্ট্র সচিব ছিলেন। বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ছিলেন। ২০১৫ সালে বিএনপি থেকে পদত্যাগ করেন। ২০১৮ সালের ৮ ডিসেম্বর বিকল্পধারা বাংলাদেশে যোগ দিয়ে পররাষ্ট্রবিষয়ক উপদেষ্টা হন। পরে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সিলেট-৬ আসনে বিকল্পধারার মনোনয়নে তিনি প্রার্থী হন। সে নির্বাচনে তিনি ১৯১ ভোট পান। যদিও নির্বাচনের আগে আওয়ামী লীগ দলীয় সাবেক শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদকে সমর্থন জানিয়ে তিনি নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ান।