ডাবল সেঞ্চুরিতে ইতিহাসের পাতায় শুভমান

বাংলাভাষী ডেস্কঃঃ

হ্যাটট্রিক ছক্কায় ডাবল সেঞ্চুরি। নাম লেখালেন এলিট লিস্টে, যার জন্মদাতা শচীন টেন্ডুলকার। বুড়ো বয়সে যেটা করেছেন সাবেক ভারতীয় লিজেন্ড, সেটাই কম বয়সে করে ইতিহাসের পাতায় টেন্ডুলকারের স্বদেশি শুভমান গিল। সর্বকনিষ্ঠ ডাবল সেঞ্চুরিয়ান এখন ভারতীয় এই ওপেনার।

বুধবার (১৮ জানুয়ারি) হায়দরাবাদে রাজীব গান্ধী আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে জ্বলে উঠেন শুভমান। ওয়ানডে ক্যারিয়ারের তৃতীয় সেঞ্চুরিকে রূপ দেন ডাবলে। ২৩ বছর ১৩২ দিন বয়সে ইতিহাস গড়লেন ২০৮ রানের ইনিংস খেলে। তার ১৪৯ বলের ইনিংসে ছিল ১৯ চার এবং ৯ ছক্কার মার।

তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে শুভমানের ব্যাটেই ছুটেছে ভারতের রানের চাকা। হাফসেঞ্চুরির কোটা ছুঁতে তাকে খেলতে হয় ৫২ বল। পরের ৩৫ বলে পূর্ণ করেন সেঞ্চুরি। দেড়শ রানের কোটায় পৌঁছাতে খেলেন আরও ৩৫ বল। সেখান থেকে ডাবল সেঞ্চুরির ঘরে যেতে মোটে ২৩ বল লাগে শুভমানের।

পঞ্চম ভারতীয় এবং সব মিলে অষ্টম ক্রিকেটার হিসেবে ওয়ানডেতে ডাবল সেঞ্চুরি করেছেন তরুণ এই ওপেনার। আগের চারজন হলেন- রোহিত শর্মা, বীরেন্দ্র শেবাগ, ইশান কিশান এবং শচীন টেন্ডুলকার। এই ফরম্যাটে সর্বোচ্চ ২৬৪ রান করার রেকর্ড রোহিতের দখলে।

২০১৪ সালে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ইতিহাস গড়েছিলেন ভারতীয় অধিনায়ক রোহিত। ওয়ানডে ফরম্যাটে একাধিক ডাবল সেঞ্চুরি হাঁকানো একমাত্র ক্রিকেটার তিনি। ২০১৩ সালে অস্ট্রেলিয়ান বিপক্ষে ২০৯ এবং ২০১৭ সালে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ২০৮ করেছিলেন রোহিত।

ওয়ানডেতে সর্বপ্রথম ২০০ রান করেছিলেন টেন্ডুলকার। ২০১০ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে বিরল এই কীর্তি করেছিলেন তিনি। তার জন্ম দেওয়া তালিকায় নাম লেখানো অন্য দেশের ক্রিকেটাররা হলেন- নিউজিল্যান্ডের মার্টিন গাপটিল (২৩৭*), ওয়েস্ট ইন্ডিজের ক্রিস গেইল (২১৫), পাকিস্তানের ফখর জামান (২১০*)।

৫০ ওভারের ক্রিকেটে সব মিলে ১০টি ডাবল সেঞ্চুরি হয়েছে। যার শেষটা শুভমানের নামে। তার দিনে ভারতের হয়ে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৩৪ রানের ইনিংস খেলেন আরেক ওপেনার এবং অধিনায়ক রোহিত। তবে বিধ্বংসী শুভমানে নির্ধারিত ওভার শেষে ৮ উইকেটে ৩৪৯ রানের বড় সংগ্রহ পেয়েছে ভারত।