তুমি আমি
নাছিমা মিশু
ভরা পূর্ণিমার জোছনায়
তোমার খলবল করা উচ্ছ্বাস দেখে ভালোই লাগছে।
না না বলিনি তো চাঁদনী প্রহর,
দেখছি খোলা হাওয়ায় ধূ ধূ প্রান্তরে যেন ধবধবে ফেনিল
মাঝে ভাসছ।
তোমার পা ছুঁই ছুঁই মাটি না ছোঁয়া আধখানা হয়ে ধিকিধিকি জ্বলছে যেন রপ ঐশ্বর্য লক্ষীর ভান্ডার।
কালে অকালে তোমার ছিলাম কি!
হ্যাঁ ভদ্রবেশী নিভৃতে তোমার প্রয়োজন বিনা বাক্য ব্যয় হাজির।
তোমার অতি শোভন উচ্চ অট্ট বিলাস,বরাবরই জানান দেয় তুমি কণ্ঠরোধ ভীত।
অন্য অন্য ইচ্ছার মুগ্ধ বলীতে তোমার উপহাস্য উপহাস।
তুমি যেন সর্বভুক ছিলে আদিতে,আছ মধ্যে, থাকবে অন্তে।
কিঞ্চিৎ ও নড়ে না আসন তোমার মধ্য যামিনী গভীর আঁধার নিশিত ঘন বিচরণে।
তোমার অবয়বে নির্মল প্রভাত দ্যুতি যতটা না শোভা পায়
অধিক অধিক বেশি তেজ ভষ্ম তুমি চৈত্রের গগনচুম্বী উচাটন।
মানা মানতির তুমি নও,নও তুমি মান্যবর,
সহসিত সকল ধারায় অগ্নি ঝরাও তোমার খেয়াল পিপাসিত ক্ষুব্ধতায়।
আমাতে -তোমাতে, তোমাতে -আমাতে দ্রোহের শক্তি নয় বিরাজমান,
অসুর সুর, বেসুরো বীণা তুমি ঝঞ্জা ক্ষুব্ধ প্রলয় ঝড়।
পারাপারের ঐ পাড়ে তুমি,
এপাড়ে আমি বারে বারে নোঙর বাধা খেয়া,শুধুই খেয়া।