তোমার প্রতীক্ষায়

তোমার প্রতীক্ষায়
---পারভীন আকতার
নিছক স্বভাবের বশে তোমাকে আড় চোখে দেখেছিলাম 
 সেই মেঠো পথের ঘন সবুজের আড়ালে।
দূর তেপান্তরে রংধনুর মাখামাখি একদম অন্যরকম দৃশ্য!
সেই আলঁ পথে তোমার ঘনঘন আনাগোনা 
ফেরি করছিলে কারো স্বপ্ন সুখের নীড় বুনন করে দিতে।
চলে গেলে হঠাৎ নিভৃতচারী হয়ে অদৃশ্য ছায়াও মাড়াওনি!
কী হয়েছিল সেদিন?
অভিমানী চোখের জল নওহর বয়েছিল!
ঊষাকাল নেয়নি আগুনের ফুলকি।
এ যে বের হয়েছিল অন্তর ফেটে।
 কোথায়, কোথায় তুমি!অন্ধকার দেখলাম যেন সবদিক!
ওহ!পিছন থেকে বুকে কে ছুরি বসালো?
ব্যথায় টনটন করছে গো!
সে এক জঘন্য সময়।মানবতা,গণতন্ত্র গলা টিপে হত্যা করা হয়েছিল।
যুবতী,বৃদ্ধা, মধ্য বয়স্কা কেউ রেহায় পায়নি,
সম্ভ্রম লুটে মহারাজাধিরাজ সেজেছিল খুব কাছের জন।
তবুও দেশ নতুনভাবে ঘুরে দাঁড়াতে চায় আপন উজ্জ্বল নীহারিকায়।
রসাল গাল গল্পে মুখর দেশাত্মবোধ যাপিত বোধন।
দেশ বিক্রি হোক,গ্যাস, চাল,ডাল সব খুঁয়ে যাক কার কী যায় আসে!
বলুনতো কী কান্ডখানা মশায়!
মুদির দোকানে গেলে দশআনার টৌটকা ষোলোআনায় কেনা লাগে!
পঞ্চায়েত বসে খোলা মাঠে!
চুলের মুঠি ধরে লাঠিয়াল চেপে ধরে!
হারামজাদী তোর মরণ আজ আমাদের হাতে!
দৌড়া পিটা করে, মাথা ন্যাড়া করে দেয় মা আর ঝিকে!
ওহ!কী বীভৎস সকালের সেই রোদ,ঘর্মাক্ত আকাশ তীক্ষ্ণ ফলা ছুঁড়ে ধরণীতল পরাজিত রক্তের অনুষঙ্গ খুঁজে।
অপরাধ কী!নষ্ট করার বিচার চাওয়ায় এই হাল!
হায় প্রভু!কেমনে সুনয়নে তাকিয়ে আছো!তোমার হৃদ কম্পন জাগেনা এখনো!
আজো তোমার প্রতীক্ষায় তাই বটতলায় বসে তজবী জপি!
ইয়া মাওলা কোথায়,স্বাধীনতা কোন ভুবনেশ্বরীর হস্তগত রাখলে?
গচ্ছিত সম্পদ এতিমের হক,সব যে লুটেরার ভাগে ক্ষতবিক্ষত!
ইয়া রাহমানুর রহিম,এবার তো পলক ফিরে চাও!
মহামারী থামাও!বিদগ্ধসমাজকে বিশাল পূণ্যতায় আসীন করো!
 অপেক্ষার অবসান ঘটুক,চিরায়িত বিনাশ হোক মিথ্যে ভালোবাসা!
নকল প্রেম,সেবা উঠে যাক তোমার আরশ পানে।
চুম্বকের মতো সকল ভালো এক হোক,বিচরণ করুক সরলতা।
হে নবীন হও আগুয়ান,সত্যের জয়ে সমর করো।
বিজয়ী নয়,বিজিত হও।
তবুও দেশ গড়ো,নব চেতনার উল্লাসে।