থানাকে আইনি সেবার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত করতে হবে: ডিএমপি কমিশনার

বাংলাভাষী ডেস্ক::

জনগণকে কাঙ্ক্ষিত সেবা দিয়ে থানাকে আইনি সেবার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত করতে হবে। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) জনসেবায় কতটা আন্তরিক তা নগরবাসীকে বুঝাতে হবে, বললেন ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান। রোববার ডিএমপি হেডকোয়ার্টার্সের ৬ষ্ঠ তলায়ব্রিফিংয়ে এমন মন্তব্য করেন ডিএমপি কমিশনার।

অফিসার ও ফোর্সদের উদ্দেশ্যে ডিএমপি কমিশনার বলেন, রাষ্ট্র আমাদের জনগণের জানমালের নিরাপত্তার দায়িত্ব দিয়েছে। পেশাদারত্ব ও কাঙ্ক্ষিত সেবা দিয়ে তার বাস্তব প্রতিফলন ঘটাতে হবে। তিনি বলেন, ডিএমপির প্রত্যেক সদস্যকে শতভাগ নিয়ম মেনে চলতে হবে। জনসাধারণের সঙ্গে সৌজন্যমূলক আচরণ করতে হবে। মহানগরবাসীর সুরক্ষা নিশ্চিত করতে গিয়ে পুলিশ সদস্যদের দিন-রাত পরিশ্রম করে দায়িত্ব পালন করতে হয়। অনেক সময় ধৈর্যচ্যুতি হতে পারে, তারপরও ধৈর্য ধরে জনগণের সেবা দিয়ে যেতে হবে। কেউ অপরাধ করলে তার ব্যক্তিগত দায় ডিএমপি নেবে না।

যদি দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে কোনো অফিসার-ফোর্স বিপদে পড়ে আমরা সর্বস্ব দিয়ে তার সহযোগিতা করার জন্য ঝাঁপিয়ে পড়বো। আমরা কারো সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করবো না। পেশাদারিত্বের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করে অন্যের খারাপ ব্যবহারের জবাব দেবো। কমিশনার আরও বলেন, জামিনে ছাড়া পেয়ে কোনো অপরাধী যেন চাঁদাবাজ বা গ্যাং গ্রুপ তৈরি করতে না পারে সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। বিভিন্ন হোস্টেল ও মেসে অবস্থানরত সন্দেহজনদের ওপর নজর রাখতে হবে, প্রয়োজনে তল্লাশি চালাতে হবে। ফেসবুক ও ইউটিউবে প্রচারিত কোনো বিভ্রান্তিকর তথ্য বা গুজবে কান দেয়া যাবে না। পুলিশি সেবা মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে বিট পুলিশিং ও কমিউনিটি পুলিশিং ব্যবস্থাকে আরও বেগবান করতে হবে। তিনি আরও বলেন, সামনের যে কোনো চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সবাইকআন্তরিকভাবে দায়িত্ব পালন করতে হবে।

এর আগে অপারেশনস্ ও ক্রাইম বিভাগের পক্ষ থেকে প্রেজেন্টেশনে বিভাগগুলোর বিভিন্ন কার্যক্রম তুলে ধরেন সংশ্লিষ্ট বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার। এ সময় ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (অ্যাডমিন) এ কে এম হাফিজ আক্তার, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস্) ড. খ. মহিদ উদ্দিন, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) মো. মুনিবুর রহমান, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (সিটিটিসি) মো. আসাদুজ্জামান, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (গোয়েন্দা) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ, যুগ্ম পুলিশ কমিশনার, উপ-পুলিশ কমিশনার ও বিভিন্ন পদমর্যাদার পুলিশ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।