দুর্জয়
সঞ্জয় কুমার কর্মকার
বর্ধিত নীরবতায় ঝরা আলোর কিরণ মেখে অহরহ নিঃস্ব হৃদয় নিয়ে বিবিধ কন্ঠের নির্লিপ্ত ডাকে ভালোবাসার বর্ণমালায় প্রলয়সন্ধ্যা রেখো যেও।
চেতনার ঐ অগ্নিময়ে স্পর্ধার স্পর্ধিত আলোড়নে হৃৎপিণ্ডের প্রত্যেকটা তরঙ্গকে জাগিয়ে দিয়ে যেও .....
উদ্যত ভালোবাসার সারল্যে রঙের অপূর্ব সুসঙ্গতি গুলো মিশিয়ে আলোর অবিশ্রান্ত রূপে মুগ্ধ করে হৃদয় জুড়ে কন্ঠ আবেগে আলোকের মধুর স্লোকে মগ্ন হয়ে থেকো প্রিয়।
ফোঁটা বৃষ্টির মুঠো বাতাস চিরে ভালোবাসায় মুক্তমালার মতোন বিশাল গোধূলির পূর্ণতার সন্ধান বেয়ে অপরিসীম আনন্দ উল্লাসের নিঃশ্বাসে মিলন ও বিরহে অবিরত আনন্দের মাঝে আশ্বাসটুকু রেখে যেও।
আকাশে বাতাসে শূন্যে অফুরান দুর্লভ জাগিয়ে বর্ণে গন্ধে ভরে আবার যেন দুর্জয় ফিরে আসে....
মুক্তির বন্ধনের আশঙ্কা নিভিয়ে নিঃসংশয়ের সমাগমে আশা অতিশয় করে অবিচারের পাশাপাশি সুবিচারের প্রণতি জানিয়ে দিয়ে যায়।
ঝনঝনে রোদের বাহার, দুর্ধর্ষ বাতাসের সাথে সমস্ত প্রাপ্তিগুলো যেন এলোমেলো, তৃপ্তিহীন আস্বাদে দোলা দিয়ে আবার শূন্যে মিশে যায়...
আদরের শিহরণে জাগায় শান্তি, সুপ্ত প্রতিভার লালনে ভাবায়.... এ জীবনের সারাটা বন্ধন যেন খাতার প্রতিটা পাতায় পাতায়।
অন্ধ ধর্ম বিশ্বাসের পথে নিগ্রহ ব্যভিচারের উৎপীড়নে, অশিক্ষার অভিশাপে নিগূঢ় পাপের অবিলতায় সহস্র সহস্র অন্ধকারের বিরুদ্ধে বিশ্বাসের পথে এক পা বাড়িয়ে আবার আরেক পা বাড়াই।
রক্তাক্ত যন্ত্রনায় শৈশবের সমস্ত স্মৃতিগুলো ছিঁড়েখুঁড়ে চৌচির হয়ে বিদ্রোহের ধারে শানিত হয়ে অন্তরের প্রতিটা স্তরে প্রতিশোধের আগুনে ঘৃনার দাবানল হয়ে উধাও হয়ে যায়।
শক্তির আকাঙ্খায় অমানবিক অমানিশার বিরুদ্ধে নিরন্তর সংগ্রাম জীবনে আরাধ্যের অন্তরে উওরণের শিখরচূড়ায় আর যেতে পারিনি কখনো.....।।