নওগাঁয় পাকা ঘর পাচ্ছে ১২৯০ পরিবার

বাংলাভাষী ডেস্কঃঃ

সরকারের আশ্রয়ণ প্রকল্পের আওতায় চতুর্থ পর্যায়ে নওগাঁয় পাকা ঘর পাচ্ছে ১ হাজার ২৯০টি ভূমিহীন-গৃহহীন পরিবার। মুজিববর্ষ উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের আওতায় জেলার ৯টি উপজেলায় বসতহারা পরিবারকে এসব ঘর করে দেওয়া হচ্ছে।

মঙ্গলবার (২১ মার্চ) সকাল সাড়ে ১০টায় জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে এসব ঘর হস্তান্তর উপলক্ষে সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান জেলা প্রশাসক খালিদ মেহেদী হাসান।

জেলা প্রশাসক বলেন, ১ম, ২য় ও ৩য় পর্যায়ের কার্যক্রমের ধারাবাহিকতায় চতুর্থ পর্যায়ে প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক সারাদেশে ৩৯ হাজার ৩৬৫টি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারের মাঝে খাস জমি ও ঘর প্রদান করা হবে। এরই ধারাবাহিকতায় নওগাঁয় চতুর্থ পর্যায়ে ১ হাজার ২৯০টি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে পুনর্বাসন করা হয়েছে। আগামী ২২ মার্চ বুধবার সকাল ৯টায় গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সারাদেশের ন্যায় নওগাঁতে এসব ঘরের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তারপরে এসব ঘর গৃহহীন ও ভূমিহীনদের মাঝে হস্তান্তর করা হবে।

তিনি আরও বলেন, ইতিমধ্যে ১ হাজার ২৯০টি পরিবারকে ২ শতক খাস জমি বন্দোবস্ত করা হয়েছে। এসব গৃহ নির্মাণ কাজের গুনগত মান নিশ্চিত করে ইতিমধ্যে ৫০ শতাংশ কাজ সমাপ্ত হয়েছে এবং কবুলিয়ত ও নামজারি সম্পন্ন হয়েছে। প্রতিটি গৃহ নির্মাণে বরাদ্দ ধরা হয়েছে ২ লাখ ৮৪ হাজার টাকা।

খালিদ মেহেদী হাসান বলেন, প্রতিটি গৃহে দুইটি কক্ষ, একটি টয়লেট, রান্নাঘর, কমনস্পেস ও একটি বারান্দা আছে। এসব গৃহ প্রত্যেক পরিবারের জন্য আলাদা করে নির্মাণ করা হয়েছে। এর মধ্যে সদর উপজেলায় ১২০টি, বদলগাছী ১০০টি, ধামইরহাটে ১৪০টি, পত্নীতলায় ১৪৬টি, মান্দায় ১৭৭টি, মহাদেবপুরে ১১৬টি, নিয়ামতপুরে ১৬০টি, পোরশায় ১৫৪টি, সাপাহারে ১৭৭টি গৃহহীন ও ভূমিহীন পরিবার এসব ঘর পাবেন। এর মধ্যে ধামইরহাট, মহাদেবপুর ও পত্নীতলা উপজেলাকে ভূমিহীন ও গৃহহীনমুক্ত ঘোষণা করা হবে।

সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আব্দুল করিম, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মিল্টন চন্দ্র রায়, সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মির্জা ইমাম উদ্দিনসহ প্রশাসনের অন্যান্য কর্মকর্তারা ।

এর আগে জেলায় প্রথম ধাপে ১ হাজার ৫৬টি ও দ্বিতীয় ধাপে ৫০২টি, ৩য় পর্যায়ে ৭৩৭টিসহ মোট ২ হাজার ২৯৫টি গৃহহীন ও ভূমিহীন পরিবারের পুনর্বাসন করা হয়েছে।