‘নিজের নয়, দেশের মানুষের জন্য কাজ করছে সরকার’

বাংলাভাষী ডেস্কঃঃ

বর্তমান সরকার নিজের নয়, দেশের মানুষের ভাগ্য গড়ার জন্য কাজ করছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

রবিবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) সকালে মিরপুর-কালশী ফ্লাইওভার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

এদিন সকাল ১০টা ৫০ মিনিটে কালশী বালুর মাঠে আয়োজিত অনুষ্ঠানে ফলক উন্মোচনের মাধ্যমে ২.৩৪ কিলোমিটার দীর্ঘ কালশী ফ্লাইওভার উদ্বোধন করেন তিনি। এরপর থেকে ফ্লাইওভারটি যান চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হয়।

বিএনপি-জামাত জোট সরকার ক্ষমতায় থাকলে দেশ পিছিয়ে যায় উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, আমি দেশের মানুষের কল্যাণে কাজ করতে এসেছি, দেশের মানুষের ভাগ্য গড়ার জন্য এসেছি, নিজের ভাগ্য গড়ার জন্য নয়।

তিনি আরও বলেন, আমার দেশের অর্থ অন্যকে দিয়ে সেখান থেকে দুর্নীতি করব, এই মানসিকতা আমাদের নেই। এই শিক্ষা বাবা-মা আমাদের দেয়নি।

বিশ্বব্যাংক ও পদ্মা সেতু প্রসঙ্গে তিনি বলেন, পদ্মাসেতু নির্মাণ বিরাট চ্যালেঞ্জ ছিল। আমাদের ওপর মিথ্যা অপবাদ দিতে চেয়েছিল। তারা বলেছিল, সেটা লাভজনক হবে না। এখন আবার বিশ্বব্যাংকই ফিরে এসেছে, যমুনা নদীতে রেলসেতু করতে। আমি অনুমতি দিয়েছি। কিন্তু, আমাদের মনে রাখতে হবে, দেশটা আমাদের। কোথায় কী হবে, হবে না। কী লাগবে, লাগবে না। এটা আমরাই ভালো বুঝি। এই ধারণাটা আমাদের থাকতে হবে।

আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ২১ ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস, শহীদ দিবস। মাতৃভাষায় কথার অধিকার অর্জনের জন্য আমার দেশের ছেলেরা বুকের তাজা রক্ত দিয়ে রক্তের অক্ষরে লিখে দিয়েছিল, মাকে মা বলে ডাকতে চাই। আমি আজকে সেই সকল ভাষা শহীদদের আমার শ্রদ্ধা জানাচ্ছি।

ঢাকায় বসবাসরত উর্দুভাষী অবাঙালিদের ফ্ল্যাট করে দেওয়ারও ঘোষণা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।

তিনি বলেন, আমরা জনগণের সুবিধার দিকে লক্ষ্য করেই পরিকল্পনা করি। ঢাকা সিটি করপোরেশনকে বিভক্ত করে দেই। বিভক্তির পর দুই সিটিতে সাড়ে ছয় হাজার কোটি টাকা খরচ করে নানা উন্নয়ন প্রকল্প করা হয়েছে। দক্ষিণে পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের জন্য ফ্ল্যাট করে দিয়েছি। উত্তরেও করে দেবো। উর্দুভাষীদের জন্যও হবে। একটি মানুষও ভূমিহীন-গৃহহীন থাকবে না।

কালশী বালুর মাঠ নিয়ে সরকারের পরিকল্পনা উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, এখানে ছেলেমেয়েদের খেলাধুলার ব্যবস্থা হবে। শিশুদের জন্য হবে পার্ক। যুবদের জন্য ক্রিকেট ও ফুটবল খেলার ব্যবস্থা এবং প্রশিক্ষণের জন্য ব্যবস্থা থাকবে। প্রবীণদের জন্য হাটার ব্যবস্থাও রাখা হবে। তবে এই মাঠ যেন মাঠ থাকে।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠান ও সুধী সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন স্থানীয় সরকার ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম। এতে উপস্থিত ছিলেন— ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম, সেনাপ্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ ও স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব মুহাম্মদ ইব্রাহিম।