পাতানো নির্বাচনে মানুষ আর পা দেবে না: মির্জা ফখরুল

বাংলাভাষী ডেস্কঃঃ

পাতানো নির্বাচনে দেশের মানুষ আর পা দেবে না বলে মন্তব্য করে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, দেশের অর্থনীতি দ্রুত রসাতলে যাচ্ছে। ক্ষমতাসীনরা শুধু উন্নয়নের নামে মিথ্যা কথার মাধ্যমে জনগণকে ধোঁকা দিচ্ছে। ঋণের টাকা পরিশোধ শুরু হলে অর্থনৈতিক সংকট আরও তীব্র হবে। গোটা রাষ্ট্রকে তারা পরিকল্পিতভাবে ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করার ষড়যন্ত্র করছে। এটাই মূলত এই সরকারের উদ্দেশ্য।

সোমবার এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। অ্যাসোসিয়েশন অব ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশ (এ্যাব)-এর উদ্যোগে রাজধানীর বনানীতে একটি হোটেলে 'দেশের জ্বালানি খাতে অমানিশা: লুটপাট আর অরাজকতার চালচিত্র' শীর্ষক এই গোলটেবিল আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।

মির্জা ফখরুল বলেন, হাজার হাজার কোটি টাকা লুটপাট হয়ে যাচ্ছে দেশের। দেশকে ফোকলা করে দিচ্ছে সরকার। ঋণের বোঝা এতটাই বেশি যে আগামীতে তা পূরণ করা যাবে কি না সন্দেহ আছে। এর ফলে গ্রোথ এতো নিচে নেমে আসবে যে দেশ একটা ব্যর্থ রাষ্ট্র পরিণত হবে। এটা আমার কথা না, এটা দেশের নামকরা অর্থনীতিবিদদের কথা।

তিনি বলেন, আওয়ামীলীগ নব্য বর্গি, তারা সব লুটপাট করে নিচ্ছে। এদের উদ্দেশ্য ক্ষমতায় থাকা। তাদেরকে ক্ষমতায় থাকতে হবে। এদেশের মানুষকে বোকা বানানোর জন্য তারা ভিন্ন ভিন্ন প্রচারণা করে যাচ্ছে। বলছে নির্বাচন সুষ্ঠু হবে। কিন্তু নির্বাচন শুরুই হয়নি অথচ গতকাল রাতে বিএনপি নেতা মজনুকে তুলে নিয়ে গেছে গোয়েন্দা পুলিশ।

আওয়ামী লীগ সব চেয়ে বড় সন্ত্রাসী এবং দুর্নীতিপরায়ণ দল মন্তব্য করে মির্জা ফখরুল বলেন, ক্ষমতাসীন দলের সাধারণ ওবায়দুল কাদের স্বরূপে আবির্ভূত হয়েছে, পুলিশ দিয়ে প্রতিরোধ করছে। জনগণ যখন প্রতিবাদ করতে যায় তখন পুলিশ ব্যাবহার করে তাদের দমন করছে। ভয়ের রাজত্ব কায়েম করছে। অগ্নিসন্ত্রাসের নামে তারাই আগুন দিয়ে মানুষ মেরেছে।

তিনি বলেন, এখন আবার সেই একই ষড়যন্ত্র করছে এবং প্রচার করছে সরকার। তাই দেশে অবস্থানরত বিভিন্ন দূতাবাস সেই ভয়ে তাদের নাগরিকদের সতর্ক করছে।

লুটপাট করতে আবার ক্ষমতায় থাকতে চায় অভিযোগ করে মির্জা ফখরুল বলেন, কিন্তু তা আর হবে না। পাতানো নির্বাচনে দেশের মানুষ আর পা দেবে না। এই লুটেরাদের ও ভোট চোরদের সরাতে না পারলে দেশের অস্তিত্ব থাকবে না। তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া দেশে নির্বাচন হবে না। সরকারের পতন ঘটিয়ে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করতে সকল দেশপ্রেমিক দল এক হয়েছে।