প্রধানমন্ত্রীকে হত্যার হুমকি: সারাদেশে আওয়ামী লীগের প্রতিবাদ

বাংলাভাষী ডেস্কঃঃ

আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার হুমকির প্রতিবাদে সারাদেশে বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিল করেছে আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গসংগঠনগুলো।

সোমবার (২২ মে) সকাল থেকে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা প্রতিবাদী মিছিল ও বিক্ষোভ সমাবেশে স্লোগান দেন।

ময়মনসিংহ
নগরীর শিববাড়ী দলীয় কার্যালয়ে সমাবেশ শেষে নগরীর প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে টাউন হল মোড়ে গিয়ে বিক্ষোভ মিছিল শেষ হয়। সমাবেশে বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এহতেশামুল আলম ও সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মোয়াজ্জেম হোসেন বাবুল। সমাবেশে নেতাকর্মীরা ঘটনার তীব্র নিন্দা জ্ঞাপন করে বিএনপি নেতা আবু সাঈদ চাঁদের দৃষ্টান্তমুলক শাস্তি দাবি করেন।

উপস্থিত নেতাকর্মীরা আরও বলেন, এমন জঘন্য ঘটনা যারা ঘটাতে চায় তারা এদেশের ভালো চায়না, তাদের উদ্দেশ্য দেশের ভিতর গন্ডগোল তৈরী করে দেশের পরিবেশ অস্থিতিশীল করা। আমরা তাদের এমন জঘন্য অপরাধের দ্রুত বিচারের দাবি জানাই।

রংপুর
বেলা ১২টার দিকে জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত বিক্ষোভ মিছিল বের হয়ে নগরীর গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে। বিক্ষোভ মিছিল শেষে রংপুর প্রেসক্লাব চত্বরে প্রতিবাদ সমাবেশের আয়োজন করা হয়।

জেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সাধারন সম্পাদক রেজাউল করিম রাজু বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশের সম্পদ নয় এশিয়া মহাদেশের রত্ন। তার গায়ে যদি একটা আঁচড় লাগলে বাংলাদেশ স্তব্ধ করে দেওয়া হবে। বঙ্গবন্ধুকন্যা সফল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সারা বাংলার মানুষের কণ্ঠস্বরে পরিণত হয়েছে। একারণে পশ্চিমা শাসকগোষ্ঠী শেখ হাসিনাকে ভয় পায়, তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র শুরু করেছে। এখন ১৯৭৫ সাল নয় ২০২৩ সাল। বাংলাদেশের জনগণ ইতিহাস জানে, তারা শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যার প্রতিবাদ গড়ে তুলতে পারেনি কিন্তু শেখ হাসিনার গায়ে যদি একটা আচড় লাগে বাংলাদেশ চিরদিন স্তব্ধ করে দেয়া হবে।

প্রতিবাদ সমাবেশে আওয়ামী লীগের কেন্দীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য ও সাবেক সংসদ সদস্য হোসনে আরা লুৎফা ডালিয়া বলেন, বিএনপির মদদকারী ও ষড়যন্ত্রকারী গুন্ডা রাজশাহী জেলার আহ্বায়ক আবু সাঈদ চাঁদকে আইনের আওতায় নিতে হবে। কারণ প্রকাশ্য জনসভায় বিএনপির এই নেতা শেখ হাসিনাকে হত্যার হুমকি দিয়েছেন। তার এই স্বীকারোক্তিকে আইনগতভাবে গ্রহণ করে ব্যবস্থা নিতে হবে।

বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশে রংপুর জেলা আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ, যুবলীগ, যুব মহিলা লীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, কৃষকলীগ, মৎসজীবী লীগ, মহিলা লীগসহ বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা অংশ নেন। তারা অবিলম্বে রাজশাহী জেলা বিএনপির আহবায়ক আবু সাইদ চাঁদের গ্রেপ্তারের দাবি জানান। এছাড়াও জেলার সাত উপজেলায় প্রতিবাদ বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেছে আওয়ামীলীগ ও তার অঙ্গসংগঠন।

নোয়াখালী
সকাল সাড়ে ১০ টায় পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও নোয়াখালী জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবদুল ওয়াদুদ পিন্টুর নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয় থেকে এক প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ মিছিল বের করে। মিছিলটি জেলা শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিন করে আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে এসে শেষ হয়।

পরে দলীয় কার্যালয় অভিমুখে এক বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি নাসের উদ্দিন নাসেরের সঞ্চালনায় এসময় বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও পৌর মেয়র সহিদ উল্লাহ খাঁন সোহেল, পৌরসভা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আবদুল ওয়াদুদ পিন্টু, পৌর আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক মিথুন ভট্ট, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক আতাউর রহমান নাছের, জেলা আওয়ামী লীগ নেতা আবু তাহের, জেলা যুবলীগের আহবায়ক একরামুল হক বিপ্লব, যুবলীগ নেতা ও সদর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান নুর আলম সিদ্দিকী রাজু প্রমুখ।

লক্ষ্মীপুর
বিকালে জেলা যুবলীগের সভাপতি প্রার্থী চৌধুরী মাহমুদুন্নবী সোহেল এর আযোজনে বিক্ষোভ মিছিল করা হয়। মিছিল টি শহরের মহিলা কলেজ সংলগ্ন এলাকা থেকে বের হয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করেন। এতে যুবলীগের বিভিন্ন ইউনিটের নেতাকর্মী অংশ নেন।

প্রসঙ্গত, গত শুক্রবার (১৯ মে) রাজশাহী জেলার পুঠিয়া উপজেলার শিবপুর হাইস্কুল মাঠে মহানগর ও জেলা বিএনপির রাজনৈতিক একটি সভায় আওয়ামী লীগের সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে কবরে পাঠানোর হুমকি দেন রাজশাহী জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু সাঈদ চাঁদ। এর পর থেকে সারাদেশে প্রতিবাদ কর্মসূচির ডাক দেয় আওয়ামী লীগ। ইতোমধ্যে চাঁদের বিরুদ্ধে রাজশাহীর পুঠিয়া থানায় চাঁদকে আসামি করে সন্ত্রাস দমন আইনে একটি মামলা করা হয়েছে।