প্রবাসী ৭ ব্যবসায়ীকে গ্রেপ্তার করার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলনঃ অচিরেই পরবর্তী কর্মসুচী ঘোষণা

প্রবাসী ৭ ব্যবসায়ীকে গ্রেপ্তার করার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলনঃ অচিরেই পরবর্তী কর্মসুচী ঘোষণা

বাংলাভাষী  ডেস্কঃ

যুক্তরাজ্যের ৭জন বিশিষ্ট ব্যবসায়ী জামাল উদ্দিন মকদ্দুস,জামাল মিয়া ,কামাল মিয়া,আব্দুর রাজ্জাক,আব্দুল আহাদ,আব্দুল হাই ওআব্দুর রবকে হোমল্যান্ড লাইফ ইন্সুরেন্সর সভা চলাকালে তাদেরে উদ্দেশ্যমূলক মামলায় গ্রেফতার ও হয়রানির প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার ২৮সেপ্টেম্বর লন্ডন বাংলা প্রেসক্লাব কার্যালয়ে এক জনাকীর্ণ সংবাদ সম্মেলন করেছে বিলেতে ব্যবসায়ীদের দুটি শীর্ষ সংগঠন বিসিএ ও ইউকেবিসিআই।উক্ত সংবাদ সম্মেলনে ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ বলেন , উপরোক্ত ৭জন বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ষড়যন্ত্রমূলকভাবে মিথ্যা ও সাজানো মামলায় গ্রেফতার করে প্রবাসীদের প্রতি অপমান করা হয়েছে ।

সংবাদ সম্মেলনে ব্যবসায়ী নেতারা বলেন,
গত কিছুদিন আগে যুক্তরাজ্য প্রবাসী ৭ ব্যবসায়ীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। উক্ত ঘটনার প্রতিবাদ ও নিন্দা জানানোর জন্য আমরা উভয় সংগঠন আজকের এই সাংবাদিক সম্মেলন এর আহবান করেছি । আমাদের কমিউনিটির সকলকে প্রকৃত ঘটনা জানাতে চাই। সাথে সাথে আমরা প্রবাসী বাংলাদেশীরা দেশে যে সকল হয়রানী হই এবং হচ্ছি, তা সম্মেলিত ভাবে বাংলাদেশ সরকারকে অবহিত করে হয়রানী বন্ধের উপায় চাই।

গত ২১শে সেপ্টেম্বর ‘হোমল্যান্ড লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড’র বার্ষিক সাধারণ সভায় অংশ নিতে লন্ডন থেকে ঢাকায় গিয়েছিলেন কোম্পানিটির এই ৭ পরিচালক। কিন্তু কোম্পানিটির মতিঝিলের প্রধান কার্যালয় থেকে তাদের গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠানো হয়। কিন্তু রহস্যজনক কারণে একই মামলার আসামি হলেও গ্রেপ্তার করা হয়নি কোম্পানিটির চেয়ারম্যান, ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও মহাব্যবস্থাপকসহ অন্য কোনো পদস্থ কর্মকর্তাকে।
আমরা হলফ করে বলছি যে, যুক্তরাজ্য প্রবাসী এই ৭ ব্যবসায়ী দেশে ফেরায় ক্ষুব্ধ হয়ে গোপনে পুলিশকে খবর দিয়ে তাদের ধরিয়ে দেওয়া হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃতরা সবাই যুক্তরাজ্যের নাগরিক ও প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী।

গ্রেপ্তারকৃত সাত ব্যবসায়ী হলেন- সিলেটের ওসমানীনগর উপজেলার বাসিন্দা জামাল মিয়া ও তার ভাই কামাল মিয়া, বিশ্বনাথের আবদুল আহাদ ও তার ভাই আবদুল হাই, ছাতকের জামাল উদ্দিন ও শাহজালাল উপশহরের আবদুর রাজ্জাক। তাদের মধ্যে জামাল মিয়া কোম্পানির ভাইস চেয়ারম্যান ও বাকি সবাই পরিচালক।
এখানে উল্লেখ্য গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে জামাল উদ্দিন মকদ্দুস বিসিএর সিনিয়র সহ-সভাপতি। ভদ্র, অমায়িক এবং দেশ প্রেমি সমাজকর্মী জামাল উদ্দিন মকদ্দুস নিজ এলাকা ছাতক থানায় নিজ গ্রামে জামাল উদ্দিন উচ্চবিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেছেন।

আজকের এই সাংবাদিক সম্মেলনের মধ্য দিয়ে আমরা আমাদের প্রাথমিক কিছু দাবীদাওয়া তুলে ধরছি।
আমাদের দাবী:
১) প্রবাসী ৭ ব্যবসায়ীর নি:শর্ত মুক্তি চাই, দিতে হবে।
২) রহস্যজনক এই গ্রেফতারের সুষ্ঠু তদন্ত চাই।
৩) আমরা প্রবাসী ব্যবসায়ী যারা বাংলাদেশে ইনভেস্টমেন্ট করাকে প্রমোট করে থাকি, তাদের নিরাপত্তা ও সামাজিক মর্যাদা দিতে হবে।
৪) অযথা মামলা ও হয়রানী করা থেকে বিরত থাকতে হবে।
৫) বাংলাদেশে আলাদা ভাবে প্রবাসীদের মামলাগুলো ত্বরিত বিচারের জন্য দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল স্থাপন করতে হবে।
আমাদের সংগঠন থেকে ইতোমধ্যে লন্ডনস্থ বাংলাদেশ হাইকমিশন এবং বাংলাদেশস্থ ব্রিটিশ হাইকমিশনকে আমাদের প্রবাসী ৭ ব্যবসায়ীকে গ্রেপ্তারের ব্যাপারে আমাদের উদ্বিগ্নের কথা জানিয়েছি।
প্রবাসী ৭ ব্যবসায়ীকে গ্রেপ্তারের ফলে বাংলাদেশে ব্যবসার পরিবেশ আছে বলে যে সুনাম ছিলো, তা আজ অতিপয় দুষ্ট মানুষ এর জন্য নষ্ট হতে চলেছে। আমরা আশা করি উক্ত ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত হবে। এবং আমরা প্রবাসী ব্যবসায়ীরা দেশের অর্থনীতিতে অবদান রাখতে পারবো।
সংবাদ সম্মেলনে ব্যবসায়ী নেতারা জানান,অচিরেই অন্যান্য সকল প্রতিনিধিত্বশীল সংগঠনের সাথে বৈঠক করে তারা পরবর্তী কর্মসূচী ঘোষণা করবেন।
সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন ও বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন ইউকে-বিসিসিআই’র চেয়ারম্যান ইকবাল আহমদ ওবিই, প্রেসিডেন্ট এমজি মৌলা মিয়া, ফাউন্ডার প্রেসিডেন্ট বজলুর রশীদ এমবিই, বিসিএ প্রেসিডেন্ট এম এ মুনিম। লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন বিসিএ’র প্রেস এন্ড পাবলিকেশন্স সেক্রেটারি ফরহাদ হোসেন টিপু।