পর্যটন প্রেম
সালমা খান
এবার না'হয় স্বপ্নকল্পনাকে মুক্ত করে
চলো যাই উড়ে যাই ভেসে জ্বালি
অন্তরীক্ষে অসংখ্য তারাবাতি ।
জোছনার চকচকে গাল টিপে টিপে
যাই চলো মহুয়ার ঘ্রাণ শুঁকে শুঁকে
পূর্ণজন্ম সিদ্ধ করি মহাপ্রলয় চুম্বনে।
এতোটা কাল আমি নির্বোধ শিশুর মতো কাটালাম ,
গেঁয়ো সুখে ছিলাম বুঁদ সপ্ত কুম্ভকর্ণের ডেরায় নাক ঢেকে পার হলো বেলা,
পথর চাপা কষ্টে অনেক হামাগুড়ি দিয়েছে আমার অতৃপ্ত আত্মা
এবার না'হয় নগদ সুখের কাছে খুঁজি প্রাক্তন আকাশ কুসুম প্রেম
আমাদের জাগ্রত আত্মাকে অভিনন্দন জানাবে শুভ আগামীকল্য
তারা আর একে অন্যেকে করে না ভয়,ভালোবাসে বলে,
এক- পা দু'পা করে না'হয় এগিয়ে
যাক আমাদের পর্যটন প্রেম ,
আজ না হয় একটা মানচিত্র আঁকা হোক পৃথিবীর পর পৃথিবী।
চলো আমাদের হোক একটি
নিজস্ব পৃথিবী শুধু দুজনের,
তোমার চোখে আমার মুখ
আমার চোখে তোমার।
এবং মুখোমুখিতে লম্বিত হবে নির্মল হৃদয়,
আমরা খুঁজে নেবো পৃথিবীর এমন কোনো শেষ গোলার্ধযুগোল,
যেখানে থাকবে শুধু সুমেরু বরফে
ঢাকা আবলুশ কাঠের আঁধার ।
গভীর ঘুমবনে মধুরাতে দীর্ঘ সুখে ধীর
মেঘ সরে যাওয়া চাঁদের আলোর
মতো,
বক্ষদেশের উজ্জ্বল বিভা উষ্ণতায় ভরে তুলবে মুখ,কপাল,উরু
দুই হাতের সঙ্গে ব্যগ্র করবে আমার দু'হাত
মিষ্টি আলোয় ক্রমান্মোচিত দেহের ভাঁজে ভাঁজে
সমুদ্রসঙ্গমে ভেসে নেবে তৃষ্ণার্থ তরী,
নঙ্গর ফেলবে দারুচিনির শুষ্ক দ্বীপে
জঙ্গলবনে নিপুন পৌরুষের নিঁড়ানি দিয়ে লাঙলচাষে ফুটিয়ে তুলবে শুভ্র জলফুল।
ধবল শঙ্খ - স্তনে সুরভীত শান্তির ছায়া ফেলবে আমার হ্নদগৃহে।
তুমি তীব্র উন্মাদনায় শুনবে কাঁপা কাঁপা ঠোঁটের গুঞ্জরিত গোঙানীর শব্দ।
আমিও ঢেউয়ের সিন্ধুজলে মিশে যাবো সাদা ফেনায় ফেনায় জলতরঙ্গে,
হায়রে আশা হায়রে বাসা সবটাইতো কল্পনায় ভাসা ,
আমার ভবের ভাব কাঁচা ঠাসা
এরপরও ভিন্ন কোনো নভমন্ডলে নিত্য যাওয়া আসা।
হয়তো জীবনচক্রে,পর্যটন প্রেম হাওয়া উড়ে, ক্ষীণ পথধরে জেগে উঠে জঙ্গলাধারে।
চিকন কঞ্চি বাঁশের ওপর ভর করে পথ চলে ,
একটুকরো মেঘপাহাড়ি লালমাটির আর সুবর্ণরেখার বন্দর l