ফিনিয়ো হইয়ো

ফিনিয়ো হইয়ো

--গোলাম রববানী 

কেউ জানে না কেন আজ অদৃশ্যের ছায়া এলো
কেউ জানে না ধুততরি পাগলা হাওয়া ক্ষেপে গেলো
দুখীর ঘরে দুঃখ ঝরে কারো চোখে অশ্রু পড়ে
খাঁ খাঁ দুপুরবেলার ওই কুকুরগুলোর লালা ঝরে।
আকালে থেকেও নৈরাজ্যের বেশে
না হয় ফিনিয়ো হইয়ো ছেড়ে দিয়ে!
শান্ত ছেলে শীতল জলে
কখন সুনামি ওঠে কেউ কী জানে 
নীলাকাশে চৈতী হাওয়ায় কখন যে মেঘ জমে
কেউ কী জানে,কেন আজ বজ্র বৃষ্টি আর শীল পড়ে!
সব কিছুই আজ এলোমেলো সব কিছুই আজ কালো
দেখেও দেখিতো বুক ফোটে তো মুখ ফোটে না কারো
কেন তবে আজ মুখের কথা ঢোক গিয়ে খায়,সবাই জানে! রঙিন বেলুনে অব্যক্ত সব ভর্তি কথা ফানুস হয়ে দেখি আজ উড়ে যায়! কথা বলার কেউ কী আছে!
কেউ বোঝে আর কেউ বোঝে না ঠিক তেমনটি না
সাগর থেকে বাংলাবান্ধা জমে আছে ক্ষুব্ধ মর্মযন্ত্রণা।
নাট-বল্টু,মটু-পাতলু আর গোপাল ভাড়ো দ্যাখে সবি
কিন্তু ক্যানো যেন তারা আজ অতোটা আর ক্ষেপে না।
কথা আছে আকাশ সমান বোলতো ফোটে নারে
বলতে গেলে অনাদরে অবহেলায় জীবন যাবেরে!
দেখো চারিদিকে আজ দুঃসময়-
মানুসে মানুষে এনেছে আরো আজ মারাত্মক দুঃসময়।
জীবন থেকে জীবনে হৃদয়ে কতো হাহাকার নিয়ে
কেউ কী জানে পুড়েছে কী পুড়িয়েছে কে কাহারে।
তবুও এতোটা বেদনা তবুও এতোটা যাতনা
এক পৃথিবী আগে পেয়েছে কি-না আমি জানি না।

১৬ চৈত্র ১৪২৭ বঙ্গাব্দ