বিদায়

বিদায়

জ্যোৎস্না দত্ত

অনেক গুলো বছর ধরে অপেক্ষায়

ছিলাম,ভেবেছিলাম, নিজের ভুল গুলো

বুঝতে পেরে আসবে তুমি,তোমার দৃঢ়

কণ্ঠস্বর শোনার অপেক্ষায় কাটিয়ে দিলাম বহু বছর,এখন আমি গোধূলির

শেষ লগ্নে,তুমি আসবে ভেবে প্রতি দিন

তোমার ভালোবাসার রজনীগন্ধা নিয়ে

আসি কিনে,তুমি আর এলে না,

প্রেমের ক্ষয়,ভালোবাসা অবহেলিত

কেন হয়,উত্তর আজও অজানা,তবে

শরীরের কিছু উষ্ণতা আবেগ না ভালো

লাগা থেকে এসেছিলে,আজ মনটা

ভীষণ আনচান করছে,রাতের নির্জনতা

আমার ভালো লাগা,আজ বিকেল থেকেই অঝোর ধারায় ঝরছে বর্ষা,

চাঁদ,তারার দেখা নেই মাঝের মধো

জোছনা আলো ছড়িয়ে দিতে দিতে

সেও যায় চলে,শুধু ভাবতেই থাকি,তার

কি এতো গুলো বছরের মধ্যে একবার ও আমাকে দেখতে মন চায় নি! ভালোবাসা এমন কেনো হয় ! কতো

সহজেই আপন করে আবার কতো

সহজেই ভুলে যাওয়া কিন্তু আমি কেন

পারলাম না,তার মানে ভালোবাসা আজও বাঁচে ভালোবাসার জন্য,তাই 

তো হৃদয় জুড়ে আজও সেই আছে,

ছোট ছোট অশ্রু কনা চিবুক ছুয়ে নামে

যে চিবুকে তার ঠোঁটের স্পর্শ ছিল তা

আজ ধুয়ে যাচ্ছে অশ্রু জলে,চেয়ে

রইলাম জানলার বাইরে,ঝরে পরা বৃষ্টি

দেখতে দেখতে কিছু একটা শব্দে জানলার বাইরে নীচে তাকিয়ে কোলা

ব্যাঙের লাফানো দেখলাম,মনটা ভীষণ

আনচান করছে,উঠে আয়নার সামনে দাঁড়াতে ই অন্ধকারে নিজেকে ঠিক মতো দেখতে না পেলেও বুঝলাম সময়

খুব কম,আজ তুমি এলেও আমাকে

নিজের করবে না বুঝলাম,যে সৌন্দর্যের

কাছে এসেছিলে সে আজ ধূসর,ফেকাসে,সুখে যদি থেকে থাকো

তাহলেই ভালো,ঘৃণাভরে বহু দূরে চলে

যাওয়া তোমাকে আমি বুকের মাঝে

লুকিয়েছি,তৃপ্তির খোঁজে ভালোবাসার

নামে ছুঁতে যেও না নতুন নতুন হৃদয়ে,

রজনীগন্ধা রাখবো কিনে যদি আসো

শেষ বিদায় এ দিও তবে মাথার কাছে.