বুয়েট শিক্ষার্থী ফারদিন মাদকাসক্ত ছিলেন না: ডিবি

বুয়েট শিক্ষার্থী ফারদিন মাদকাসক্ত ছিলেন না: ডিবি

বাংলাভাষী ডেস্কঃঃ

কয়েকটি গণমাধ্যমে বুয়েট শিক্ষার্থী ফারদিন নূর পরশকে মাদকাসক্ত বলে যেসব সংবাদ প্রকাশ করা হয়েছে সেগুলো ভিত্তিহীন বলে জানিয়েছেন ডিবি পুলিশের প্রধান হারুন অর রশিদ।

শনিবার (১২ নভেম্বর) সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে ডিবি পুলিশের প্রধান এ কথা বলেন।

ঢাকাপ্রকাশ-এর এক প্রশ্নের জবাবে হারুন অর রশিদ বলেন, যে সমস্ত গণমাধ্যম ফারদিনকে মাদকাসক্ত বলে সংবাদ প্রকাশ করছে সেটার কোনো সত্যতা নেই, এটি ভিত্তিহীন। আমরা আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো কিছু জানাইনি এবং এখনো তদন্ত চলছে, তদন্ত শেষ হয়নি। এখনই কিছু বলা যাচ্ছে না।

অপর এক প্রশ্নের জবাবে হারুন অর রশিদ বলেন, আমরা নৌকার মাঝিকে শনাক্ত করে আটকের চেষ্টা করছি। এখনো তাকে আইনের আওতায় আনা হয়নি। তবে আশা করি খুব কম সময়ের মধ্যে তাকে আইনের আওতায় আনা হবে এবং এই ঘটনার আসল রহস্য উন্মোচন হবে।

ডিবিপ্রধান হারুন আরও বলেন, ফারদিনের মোবাইলের তথ্য বিশ্লেষণ ও বিভিন্ন জায়গায় তিনি যাদের সঙ্গে কথা বলেছেন সবকিছু মিলিয়ে আমার কাছে মনে হচ্ছে ঢাকা শহরেরই কোনো এক জায়াগায় খুন হন তিনি। মোবাইলের লোকেশনে আমরা নারায়ণগঞ্জও পেয়েছি। সবকিছু মিলিয়ে তদন্তের স্বার্থে কংক্রিট কিছু বলতে পারছি না।

তিনি আরও বলেন, বুয়েট শিক্ষার্থী ফারদিন নূর পরশ গত ৫ নভেম্বর থেকে নিখোঁজ ছিলেন। ওইদিনই রাজধানীর রামপুরা থানায় এ বিষয়ে সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন তার বাবা কাজী নূর উদ্দিন। নিখোঁজের দুদিন পর গত ৭ নভেম্বর সন্ধ্যা ৬টার দিকে নারায়ণগঞ্জের শীতলক্ষ্যা নদী থেকে ফারদিনের মরদেহ উদ্ধার করে নৌ-পুলিশ। এর পর থেকেই আমরা তদন্তে নেমে বিষয়টি নিয়ে কাজ করছি।

তিনি বলেন, এরপরই তার দুই বন্ধু বুশরা ও শীর্ষ সংশপ্তককে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় এবং এর মধ্যে বুশরাকে গ্রেপ্তার করা হয় কারণ ফারদিনের বাবা তার নামে মামলা করে। বুশরা রাজধানীর একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী।

তিনি বলেন, আমরা ময়নাতদন্তে জানতে পেরেছি ফারদিনের মাথায় ও বুকে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। তবে সেই আঘাত কোনো ধারালো অস্ত্রের নয়। আঘাতের চিহ্ন দেখে নিশ্চিত হওয়া গেছে এটি হত্যাকাণ্ড। সব কিছু মিলিয়ে আমরা এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা করছি।