ব্রিটিশ বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত তাহদি’র বাংলা শেখার চর্চা

ব্রিটিশ বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত তাহদি’র বাংলা শেখার চর্চা

নূরজাহান শিল্পী

এই প্রথম অনলাইন দেখে পেন্সিল স্কেচ শহীদ মিনার ও বাংলাভাষা লিখার চেষ্টা করলো ব্রিটেনে বেড়ে উঠা সৈয়দ আরিয়ান তাহদি।

 মহান অমর একুশে ফেব্রুয়ারি আন্তজার্তিক মাতৃভাষা দিবস উদযাপনে ওর ক্ষুদ্র চেষ্টা কোন অংশে কম নয়। ব্রিটেনে বসবাস করার সুবাদে সার্বক্ষণিক ইংরেজী ভাষার চর্চা থাকলেও আমাদের মাতৃভাষা বাংলার চর্চাও যেন আমাদের বাঙালি বংশদ্ভোতরা অব্যাহত রাখে।” কথাগুলো বললেন ,বল্টন এলাকার বাংলাদেশের মৌলভীবাজারের সন্তান ও আদর্শ মা দিলসাদ চৌধুরী।

ফেব্রুয়ারি মানে ভাষার মাস। ৫২’র ভাষা আন্দোলনে সালাম, রফিক, বরকত,জব্বার সহ অনেক শহীদের আত্মবলিদানে অর্জিত হয় রাষ্ট্রভাষা বাংলা। ১৯৯৯সালের ১৭ নভেম্বর ইউনেস্কো মাতৃভাষা বাংলাকে আন্তজার্তিক মাতৃভাষা দিবসহিসাবে ঘোষণা করে। দেশের সর্বস্তরে বাংলাভাষার প্রচলনের পাশাপাশি বিদেশেও বাঙালি বংশদ্ভোতরা বাংলা ব্যবহারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।

মৌলভীবাজারের সন্তান দিলসাদ চৌধুরি ও সৈয়দ নাজমুল হুসেইন এর ছেলে সৈয়দ আরিয়ান তাহদি। ম্যানচেস্টারের বল্টন এলাকায় ২০১০ সালে তাহদি’র জন্ম। ১১ বছর বয়সী এই ছোট্ট তাহদি সার্পোলস হাইস্কুলের ৭ম ইয়ার ক্লাসের ছাত্র। ফেব্রুয়ারি মাসে বাংলাভাষা চর্চা, আনুষ্ঠানিকতা তাকে মুগ্ধ করে তুলে।তাই অনলাইন দেখে নিজ উদ্যোগে মাতৃভাষা বাংলার চর্চা শুরু করে। পেন্সিল স্কেচ দিয়ে শহীদ মিনার আঁকে। শহীদ মিনারের পাশাপাশি বাংলাভাষা লিখার চেষ্টা করে।

৫২’র ভাষা আন্দোলনের সেই স্মৃতিগুলো আমাদের বাঙালিদের বংশদ্ভোতরাও আজওলালন পালন করছে। এটি আমাদের গর্বের বিষয়। মাতৃভাষা বাংলার চর্চাটি আজ লন্ডনের প্রত্যন্ত অঞ্চলেও ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে। 

তাহদির মতো লন্ডনে বেড়ে উঠা আমাদের সকল শিশুরাও যেন মাতৃভাষা বাংলার প্রতি এমন চর্চায় লিপ্ত হয় সেই প্রত্যাশাই কাম্য। 

সকল ভাষা শহীদ ও ভাষা সংগ্রামীদের স্মৃতির প্রতি গভীরশ্রদ্ধা থাকলো ।