বিশ্ববাসীর কথা ভাবুন, মাথা ঠান্ডা রেখে শান্তির পথ তৈরী করুন

বিশ্ববাসীর কথা ভাবুন,  মাথা ঠান্ডা রেখে শান্তির পথ তৈরী করুন

রিটোন মোস্তফা 

দিন যতই যাচ্ছে ততই ইউক্রেন রাশিয়া ইসু এখন দুটি দেশের উত্তেজিত কার্যকলাপ প্রথমেই ন্যটোর মাথা ব্যথার সাথে যুক্তরাষ্ট্রের মাথা ব্যথার কারণ তো অবশ্যই, সেইসাথে এই ত্রিমুখি বিরোধ এখন সমগ্র রাস্ট্র বা দেশ গুলোর জন্য শুধুমাত্র প্রভাব না দারুণ প্রভাব ফেলেছে। ইউক্রেন ইসুতে ন্যাটো বিস্তার সংক্রান্ত আতঙ্ক উষ্কে দিয়েছে রাশিয়াকে, যেটা বারবার ইউক্রেনের নামের সাথে স্পষ্ট হয়েছে আসলে এই যুদ্ধ শুধুমাত্র ইউক্রেন না বরং ইউক্রেনকে কেন্দ্র করে ন্যাটোর রাশিয়ার সীমান্ত পর্যন্ত অগ্রসর, যেটা রাশিয়া তার অভন্তরীণ বিষয়গুলোতে হুমকি বলেই মনে করে।

রাশিয়ার বিপক্ষে সম্মুখ যুদ্ধে পশ্চিমারা সরাসরি যুদ্ধে না নামলেও এ যাবৎ কালের সর্বোচ্চ নিষেধাজ্ঞার কবলে ফেলতে চেয়েছে রাশিয়াকে, যেটা ইউক্রেনে রাশিয়ার বর্তমান হামলার জন্য কোন প্রভাব ফেলেছে বলে মনে হচ্ছে না, পুতিন তার লক্ষে অবিচল রয়েছেন এবং ইউক্রেন দখলের জন্য লাগাতার বিভিন্ন আক্রমণ বৃদ্ধি করেই যাচ্ছেন। যার অর্থ যে কোন মূল্যে রাশিয়ার সীমান্ত এলাকাতে পশ্চিমাদের তৎপরতাকে প্রতিহত করা। এখানে ইউক্রেন যেহেতু রাশিয়ার সীমান্ত রাস্ট্র সেজন্য যে কোন ভাবে ন্যাটোর সাথে ইউক্রেনের বর্তমান সংযুক্ত হবার বাসনাকে পুতিন যে কোন ভাবেই হোক ঠেকাবেই, এটা স্পষ্ট। 

রাশিয়ার এই ইউক্রেন ইসুতে পশ্চিমা রাস্ট্র গুলো রাশিয়ার বিপক্ষে এবং ইউক্রেনের পক্ষে থাকলেও রাশিয়া যে একদম একা এটাও বলা যাবে না। কারণ ইদানিং আন্তর্জাতিক মিডিয়ার বিভিন্ন তথ্য ও সংবাদে এই প্রসঙ্গে বারবার আরও একটি দেশের নাম আসছে যেটাকেও খুবই গুরুত্বপূর্ণ হুমকি বলেই ন্যাটো মনে করছে। সেই দেশটি হলো চিন। এপর্যন্ত আন্তর্জাতিক বিভিন্ন রাস্ট্র পশ্চিমাদের সমর্থন করলেও বিশ্বের আরও একটি অর্থনৈতিক এবং সামরিক শক্তিধর দেশ চিন কার্যত পশ্চিমাদের আরোপিত নিষেধাজ্ঞার তোয়াক্কা না করে রাশিয়ার সাথে সব ধরণের বানিজ্যিক সহ বিভিন্ন সহযোগিতা অব্যাহত রেখে অনেকটা স্পষ্ট করে দিয়েছে তাদের অবস্থান।