বয়ানে রামাদান -১

বয়ানে রামাদান -১


চৌধুরী হাফিজ আহমদ 


সকল সমস্যার সমাধান ও অঢেল রত্ন ভাণ্ডার নিয়ে আমাদের মধ্যে উপস্তিত হয়েছে বছরের সেরা মাস রামাদান , আমাদের সিয়াম ও কিয়াম করতে হবে বাধ্যতা মুলক এর সহিত আরও অনেক কিছু রয়েছে তাও আঞ্জাম দিতে হবে  এর মধ্যে সর্ব প্রথম বিগত ১১ মাসের পাপ কে জ্বালাতে হবে যত গোনাহ করেছি এই সব থেকে নিজেকে পরিষ্কার করতে হবে , গোনাহ বা পাপ কে জ্বালাবার একমাত্র পেট্রোল এই মাসেই পাওয়া যায় একদম বিনা মুল্যে ,মানুষ শুধু মাত্র দেহ সর্বস্ব নয় এর সাথে রয়েছে আত্মা যাহাকে আল কোরআনে বলা হয়েছে রূহ আরও আছে নফস , আরও আছে  ইনশাহ আল্লাহ আগামি ২৯ দিনের আলোচনায় সামনে আসবে , এই নফস কে লাগাম দিতে সাওম এক বিশাল ভুমিকা রাখে - স্বাভাবিক নিয়মের বিপরীত থাকে নফস - নফসের ধোঁকায় পরেই মানুষ দেহ দিয়ে পাপ করে , তাই এই শত্রু নফস কে কাবুতে রাখতে রামাদানের বিকল্প কেউ আবিষ্কার করতে পারেন নাই , রামাদানের কিছু বিশিষ্ট আছে এর মধ্যে আদব পবিত্রতা সংযম ইত্যাদি আবশ্যক। প্রাচীন কালে সকল জাতি ধর্মের মধ্যে ও উপোষ করার প্রথা ছিল - কেউ ৪০ দিন আবার কারো জন্য ৬০ দিন এমন ও ছিল কারো জন্য সপ্তাহ পর্যন্ত , আমার মনে হয়ে রাজনীতির মধ্যে দাবী আদায়ের যে অনশন এর প্রচলন তাও এই রামাদানের সাওম থেকে চালু হয়েছিল যদিও আমি অনেক ঘাঁটাঘাঁটি করে এর পক্ষে দলিল সংগ্রহ করতে চোখ রাখছি ইতিহাসের পাতার দিকে , রামাদানে দেহ কে কষ্ট দিয়ে রূহ কে সচল রাখার এক মহা পদ্ধতি হচ্ছে আল কোরআন এর তিলাওয়াত , এই তিলাওয়াতে দেহ সচল ও সচল হয় এমন কি নার্ভ সিস্টেম পর্যন্ত রিপেয়ার হয়ে যায় , আল কোরআনের জন্ম মাস হিসাবে ও পরিচিত এই রামাদান মাস ,আজকে আমাদের মধ্যে অতিবাহিত হচ্ছে , আল্লাহ যেন আমাদের এই রামাদানের আদব রক্ষা করে চলার তাওফিক দান করেন , আমরা যেন এর থেকে সকল সমস্যার সমাধান পেতে পারি ও এর সুস্ত ব্যবহার করতে পারি সেই তাওফিক কামনা করছি মহান রাব্বুল আল আমিনের কাছে , রামাদানের নিয়মের মধ্যে যা আছে - কম খাব কিন্তু ভাল খাবার খাব , খাবার খাব মাগরিবের আজানের সময়ে এবং বন্ধ রাখব ফজর থেকে মাগরিব পরযন্ত , সংযম পালন করব ও দান করব , যত পারি বিলিয়ে দেব , উত্তম ব্যবহার করব - যত বদ অভ্যাস আছে তা ত্যাগ করব , আগামী ১১ মাসের জন্য নিজেকে সকল ভালো অভ্যাসের জন্য তৈরি রাখব । ইফতারে কম খাব - সেহরীতে নিয়ম পালন করে খাব , খাবারের অভ্যাসের মধ্যে সবচাইতে উত্তম অভ্যাস ছিল আমাদের নবী ও পয়গাম্বর আশরাফুল আম্বিয়া জগত শ্রেস্ট বিজ্ঞানী মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ সঃ , আমরা যদি তাহার খাবারের অভ্যাসের প্রতি লক্ষ্য রাখি তা হলে খাবারের অভাব হবার কথা নয় , আজকের রামাদানের প্রথম দিনে আমি অনুরুধ রাখব সবার কাছে আসুন আমরা রামাদানের পবিত্রতা রক্ষায় খেয়াল রাখি , আল্লাহর কাছে সত সমস্যা আছে তা আলাপ করি একান্তে ও জামায়েতে সালাতের মাধ্যমে , এই মাসের আগমন হয় সকল সমস্যার সমাধান দিতে , যেহেতু আল কোরআনের জন্ম মাস তাই আল কোরআন থেকেই এর সমাধান আসবে , এবং এতে স্বয়ং আল্লাহ তায়ালা বরকত দান করেন , তাওবার সহিত আল্লাহর কাছে চাইলে আল্লাহ ক্ষমা করতে রাজি এবং তিনি তা অগ্রিম বলে দিয়েছেন - আল্লাহর কাছে মন খুলে চাই এবং রাজি করিয়ে নিজেকে যোগ্য প্রমান করি , আলাহুম্মা ইয়া শাফিয়াল আমরাদ - আল্লাহুম্মা ইয়া হাল্লালাল মুশকিলাত - আল্লাহুম্মা ইয়া মুছাব্বিবাল আছবাব - আল্লাহুম্মা ইয়া দাফিয়াল বালিয়াত , আল্লাহুম্মা ইন্নাকা আফুউন তুহিব্বুল আফুয়া ফা`ফু আন্নি ইয়া হাকিম ইয়া রাজ্জাক্ক , আল্লাহুম্মাগফিরলি মাউতা ওয়া মাউতাল মুসলিমিন - আল্লহুম্মাগফিরলি ওয়ালি ওয়ালিদাইয়া ওয়ালিল মু`মিনিনা ইয়াউমাইয়া ক্কুমুল হিসাব , আল্লাহ যেন আমাদের কবুল করে ক্ষমা দিয়ে জান্নাতুল ফিরদাউসের পরিবেশ এই দুনিয়ায় দান করেন , আমাদের অভাব দূর করেন আমাদের কি সঠিক সত্য জ্ঞান দিয়ে জীবন কে ধন্য করেন - রাব্বি জিদনি ঈলমা - রামাদানের সকল রহমত বরকত ফজিলত দিয়ে দুনিয়ার জীবন কে আলোকিত ও আখিরাতে রেহাই দিয়ে উনার জান্নাতে স্থান দান করুন।