বিয়ানীবাজারে মেয়রপ্রার্থী টিটুর ইশতেহারের ব্যাপক প্রশংসা
বাংলাভাষী ডেস্ক:
একটি চমৎকার ইশতেহার বিয়ানীবাজার পৌরবাসীর সামনে তুলে ধরলেন মেয়রপ্রার্থী আব্দুল কুদ্দুছ টিটু। বললেন নির্বাচিত হলে এ পৌরসভায় যানজট নিরসন,পানি,বর্জ্য,পয় নিষ্কাশন,শিক্ষা,স্বাস্থ্য যোগাযোগ ব্যবস্থা,খেলাধূলা,ইতিহাস ঐতিহ্য সংরক্ষণ সবক্ষেত্রে দার রয়েছে সুদূর প্রসারী পরিকল্পনা। প্রবাসীদের জন্য এনআরবি সেন্টার,তরুণ প্রজন্মেরজন্য আইটি সেন্টার স্থাপন করবেন। এরকম নানা মহাপরিকলন্পনার কথা তুলে ধরলেন নির্বাচনী ইশতেহারে। মঙ্গল বার দূপুরে তিনি বিয়ানীবাজারে তার নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা করেন। বললেন মাস্টারপ্লাণ হবে বিয়ানীবাজার পৌরসভার উন্নয়নে। যাবে ২০বছর পরও চিন্তা করা যায়
এসময় আব্দুল কুদ্দুছ টিটু পৌরসভার উন্নয়নে তার মহাপরিকল্পনার কথা তুলে ধরে বলেন, ভবিষ্যত প্রজন্মের জন্য একটি বাসযোগ্য পরিবেশ সবার কাম্য। আর সে পরিবেশ তৈরীর লক্ষ্যেই ইশতেহারে জন প্রত্যাশার প্রতিফলন ঘটাতে চেয়েছেন। তিনি বলেন,আমি বিজয়ী হলে যে বিষয়গুলোতে সবচেয়ে বেশী প্রাধান্য দেবো সেগুলো হচ্ছে:----
১: বিয়ানীবাজার পৌরসভাকে একটি স্বচ্ছ দূর্নীতিমুক্ত জবাবদিহীমুলক প্রতিষ্ঠানে পরিণত করা।
২: প্রথমশ্রেণীর পৌরসভা হিসেবে এখানকার সম্মানীত নাগরিকদেরকে রাষ্ট্রের সকল সুবিধা সহজপ্রাপ্তিতে পৌর পরিষদ থাকবে অঙ্গীকারাবদ্ধ। বিশেষ করে সম্মানীত মুক্তিযোদ্ধাদের সবধরণের করের আওতামুক্ত রাখা হবে
৩: চিকিৎসার জন্য যেসব সুযোগ বিদ্যমান আছে,এর পাশাপাশি নতুন সুযোগ সৃষ্টি করা এবং প্রত্যোক নাগরিককে হেলথ কার্ড প্রদান করতে চাই।
৪:যোগাযোগ ব্যবস্থা: চলমান শতাব্দীর সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ যোগাযোগ ব্যবস্থা। এজন্য সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনার মাধ্যমে পৌর এলাকার প্রত্যেকটি ওয়ার্ডে উন্নত সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ে তোলাসহ সুষম উন্নয়নে আমার প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে।
৫: প্রযুক্তি নির্ভর বর্তমান বিশ্বে পিছিয়ে থাকার সুযোগ নেই। তাই পৌর এলাকায় একটি নিজস্ব আইটি সেন্টার প্রতিষ্টা করতে চাই। যেখানে নাগরিকরা তাদের সকল ডিজিটাল সেবা গ্রহণের পাশাপাশি একটি বহুমূখি কম্পিউটার প্রশিক্ষন কেন্দ্র থাকবে।
৬: গণপরিবহণ ব্যবস্থার উন্নয়ন এবং শৃংখলা আনয়ন করতে কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে। যানজট নিরসন, পরিবহন শ্রমিক ভাইদের একটি সুন্দর পরিবেশ সৃষ্টির লক্ষ্যে উন্নত টার্মিনাল ও পার্কিং জোন গড়তে চাই।
৭: বিয়ানীবাজার পৌরশহরের ব্যবসায়ী ও ক্রেতাদের জন্য একটি সুন্দর পরিবেশ উপহার দিতে আমার সর্বাত্মক প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে। বিশেষ করে কাঁচামাল, সবজি ও মৎস্য ব্যবসায়ী ভাইদের কল্যাণে থাকবে সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপ। যাতে তারা সকলেই পাবেন একটি উন্নত ও স্বস্থির পরিবেশ।
৮: নাগরিক সেবা: পৌরসভা মুলত একটি সেবাদানকারী প্রতিষ্টান। নাগরিকরা সেখান থেকে নানা ধরণের সেবা নিয়ে থাকেন। বিশেষ করে জনগুরুত্বপূর্ণ সেবা যেমন,জন্ম নিবন্ধন,ভোটার আইডি,ট্রেড লাইসেন্স,নাগরিকত্ব সনদ, উত্তরাধারী সনদ, বয়স্কভাতা, প্রতিবন্ধীসেবাস, বিধবা, বৃদ্ধা, ও দুঃস্থ মহিলাদের সহায়তাসহ এধরণের সকল সরকারী বেসরকারী সেবা ‘ওয়ান স্টপ সার্ভিস’এর মাধ্যমে প্রদানে কার্যকর উদ্যোগ নেয়া হবে। এজন্য পৌসভায় হেল্পডেস্ক বসানো হবে।
৯: । শিক্ষা:যুগের চাহিদা অনুযায়ী পৌর এলাকার প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার পরিবেশ উন্নত ও মান বৃদ্ধি কল্পে থাকবে সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা। বিশেষ করে পৌরসভার তত্বাবধানে একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলতে চাই। যাতে কোনো শিক্ষার্থী ঝরে পড়ার শিকার না হন। সেজন্য শিক্ষাবৃত্তি চালু করা হবে।
১০: প্রবাসীবহুল এই উপজেলার প্রাণকেন্দ্র বিয়ানীবাজার পৌরশহরে একটি ‘এনআরবি সেন্টার’ প্রতিষ্টা করা হবে। যেখান থেকে প্রবাসীদের সকল ধরণের নাগরিক সেবা প্রদান ও সহযোগিতা করা হবে।
১১। পৌর এলাকার সকল ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান সংশ্লিষ্টদের কল্যাণে উন্নয়নে আন্তরিকতার সাথে কাজ করবে পৌরসভা। গণমাধ্যমকর্মীদের কল্যাণেও থাকবে আমার বিশেষ উদ্যোগ।
১২। পৌর এলাকায় মশক নিধন, বর্জ্যব্যবস্থাপনা উন্নতির মাধ্যমে সেটিকে সম্পদে পরিণত করবেন। ড্রেনেজ ব্যবস্থার উন্নয়ন, পানি ও পয়ঃ নিষ্কাশন ব্যবস্থা উন্নতকরণ, সুপেয় পানীয় জলের ব্যবস্থায় কার্যকর পদক্ষেপ নেয়া হবে।
১৩। বিয়ানীবাজার পৌর এলাকার সামাজিক ও ক্রিড়া সংগঠনগুলোকে পৃষ্টপোষকতার মাধ্যমে নতুন প্রজন্মকে খেলাধুলা এবং মানবসেবায় উদ্ধুদ্ধ করার ব্যবস্থা নেয়া হবে। যাতে ভবিষ্যত প্রজন্ম মাদক সন্ত্রাসসহ নানা সামাজিক অবক্ষয় থেকে রক্ষা পায়।
(৪)
১৪। বিয়ানীবাজার পৌরসভা প্রতিষ্টার প্রায় দুই যুগ অতিবাহিত হলেও এই শহরে একটি শৌচাগার প্রতিষ্টা করা হয়নি। আমি নির্বাচিত হলে এ ব্যাপারে পদক্ষেপ নেবো।
১৫। শিশু কিশোরদের মেধার বিকাশ, সুকুমার বৃত্তিচর্চা এবং সর্বোপরি বিনোদনের জন্য জন্য একটি পার্ক গড়ে তোলার পরিকল্পনা রয়েছে আমার।
এছাড়া শহীদ মনু মিয়া,ড, জিসি দেবসহ শহীদদের স্মৃতি রক্ষায় কার্যকর উদ্যোগ নেবেন।
তিনি আগামী ১৫জুনের নির্বাচনে বিয়ানীবাজারের সবর্স্তরের নাগরিকদের সমর্থন প্রত্যাশা করেন। তাকে হেলমেট প্রতীকে ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করার আহবান জানান।
ইশতেহারের পর আলোচনায় শিক্ষক সাংবাদিক ও প্রবাসী নেতৃবৃন্দ তাদের বক্তৃতায় ব্যাপক প্রশংসা করেন টিটুর উন্নয়ন পরিকল্পনার।ইশতেহার ঘোষণা করে প্রশংসায় ভাসছেন মেয়রপ্রার্থী টিটু
এম এফ আলম:
বিয়ানীবাজারে একটি বাস্তবসম্মত ইশতেহার ঘোষণা দিয়ে সূধীজনের প্রশংসায় ভাসছেন স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী সাবেক ছাত্রলীগ নেতা আব্দুল কুদ্দুছ টিটু। ইশতেহার ঘোষণার পর শিক্ষক সাংবাদিক প্রবাসীসহ সর্বস্তরের নাগরিকরা পৌরসভা নিয়ে তাঁর পরিকল্পনার ব্যাপক প্রশংসা করেছেন। গতকাল মঙ্গলবার দূপুরে এক জনাকীর্ন সংবাদ সম্মেলনে তার নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা করেন।
এসময় আব্দুল কুদ্দুছ টিটু পৌরসভার উন্নয়নে তার মহাপরিকল্পনার কথা তুলে ধরে বলেন, ভবিষ্যত প্রজন্মের জন্য একটি বাসযোগ্য পরিবেশ সবার কাম্য। আর সে পরিবেশ তৈরীর লক্ষ্যেই ইশতেহারে জন প্রত্যাশার প্রতিফলন ঘটাতে চেয়েছেন। তিনি বলেন,আমি বিজয়ী হলে যে বিষয়গুলোতে সবচেয়ে বেশী প্রাধান্য দেবো সেগুলো হচ্ছে:----
১: বিয়ানীবাজার পৌরসভাকে একটি স্বচ্ছ দূর্নীতিমুক্ত জবাবদিহীমুলক প্রতিষ্ঠানে পরিণত করা।
২: প্রথমশ্রেণীর পৌরসভা হিসেবে এখানকার সম্মানীত নাগরিকদেরকে রাষ্ট্রের সকল সুবিধা সহজপ্রাপ্তিতে পৌর পরিষদ থাকবে অঙ্গীকারাবদ্ধ। বিশেষ করে সম্মানীত মুক্তিযোদ্ধাদের সবধরণের করের আওতামুক্ত রাখা হবে
৩: চিকিৎসার জন্য যেসব সুযোগ বিদ্যমান আছে,এর পাশাপাশি নতুন সুযোগ সৃষ্টি করা এবং প্রত্যোক নাগরিককে হেলথ কার্ড প্রদান করতে চাই।
৪:যোগাযোগ ব্যবস্থা: চলমান শতাব্দীর সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ যোগাযোগ ব্যবস্থা। এজন্য সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনার মাধ্যমে পৌর এলাকার প্রত্যেকটি ওয়ার্ডে উন্নত সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ে তোলাসহ সুষম উন্নয়নে আমার প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে।
৫: প্রযুক্তি নির্ভর বর্তমান বিশ্বে পিছিয়ে থাকার সুযোগ নেই। তাই পৌর এলাকায় একটি নিজস্ব আইটি সেন্টার প্রতিষ্টা করতে চাই। যেখানে নাগরিকরা তাদের সকল ডিজিটাল সেবা গ্রহণের পাশাপাশি একটি বহুমূখি কম্পিউটার প্রশিক্ষন কেন্দ্র থাকবে।
৬: গণপরিবহণ ব্যবস্থার উন্নয়ন এবং শৃংখলা আনয়ন করতে কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে। যানজট নিরসন, পরিবহন শ্রমিক ভাইদের একটি সুন্দর পরিবেশ সৃষ্টির লক্ষ্যে উন্নত টার্মিনাল ও পার্কিং জোন গড়তে চাই।
৭: বিয়ানীবাজার পৌরশহরের ব্যবসায়ী ও ক্রেতাদের জন্য একটি সুন্দর পরিবেশ উপহার দিতে আমার সর্বাত্মক প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে। বিশেষ করে কাঁচামাল, সবজি ও মৎস্য ব্যবসায়ী ভাইদের কল্যাণে থাকবে সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপ। যাতে তারা সকলেই পাবেন একটি উন্নত ও স্বস্থির পরিবেশ।
৮: নাগরিক সেবা: পৌরসভা মুলত একটি সেবাদানকারী প্রতিষ্টান। নাগরিকরা সেখান থেকে নানা ধরণের সেবা নিয়ে থাকেন। বিশেষ করে জনগুরুত্বপূর্ণ সেবা যেমন,জন্ম নিবন্ধন,ভোটার আইডি,ট্রেড লাইসেন্স,নাগরিকত্ব সনদ, উত্তরাধারী সনদ, বয়স্কভাতা, প্রতিবন্ধীসেবাস, বিধবা, বৃদ্ধা, ও দুঃস্থ মহিলাদের সহায়তাসহ এধরণের সকল সরকারী বেসরকারী সেবা ‘ওয়ান স্টপ সার্ভিস’এর মাধ্যমে প্রদানে কার্যকর উদ্যোগ নেয়া হবে। এজন্য পৌসভায় হেল্পডেস্ক বসানো হবে।
৯: । শিক্ষা:যুগের চাহিদা অনুযায়ী পৌর এলাকার প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার পরিবেশ উন্নত ও মান বৃদ্ধি কল্পে থাকবে সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা। বিশেষ করে পৌরসভার তত্বাবধানে একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলতে চাই। যাতে কোনো শিক্ষার্থী ঝরে পড়ার শিকার না হন। সেজন্য শিক্ষাবৃত্তি চালু করা হবে।
১০: প্রবাসীবহুল এই উপজেলার প্রাণকেন্দ্র বিয়ানীবাজার পৌরশহরে একটি ‘এনআরবি সেন্টার’ প্রতিষ্টা করা হবে। যেখান থেকে প্রবাসীদের সকল ধরণের নাগরিক সেবা প্রদান ও সহযোগিতা করা হবে।
১১। পৌর এলাকার সকল ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান সংশ্লিষ্টদের কল্যাণে উন্নয়নে আন্তরিকতার সাথে কাজ করবে পৌরসভা। গণমাধ্যমকর্মীদের কল্যাণেও থাকবে আমার বিশেষ উদ্যোগ।
১২। পৌর এলাকায় মশক নিধন, বর্জ্যব্যবস্থাপনা উন্নতির মাধ্যমে সেটিকে সম্পদে পরিণত করবেন। ড্রেনেজ ব্যবস্থার উন্নয়ন, পানি ও পয়ঃ নিষ্কাশন ব্যবস্থা উন্নতকরণ, সুপেয় পানীয় জলের ব্যবস্থায় কার্যকর পদক্ষেপ নেয়া হবে।
১৩। বিয়ানীবাজার পৌর এলাকার সামাজিক ও ক্রিড়া সংগঠনগুলোকে পৃষ্টপোষকতার মাধ্যমে নতুন প্রজন্মকে খেলাধুলা এবং মানবসেবায় উদ্ধুদ্ধ করার ব্যবস্থা নেয়া হবে। যাতে ভবিষ্যত প্রজন্ম মাদক সন্ত্রাসসহ নানা সামাজিক অবক্ষয় থেকে রক্ষা পায়।
(৪)
১৪। বিয়ানীবাজার পৌরসভা প্রতিষ্টার প্রায় দুই যুগ অতিবাহিত হলেও এই শহরে একটি শৌচাগার প্রতিষ্টা করা হয়নি। আমি নির্বাচিত হলে এ ব্যাপারে পদক্ষেপ নেবো।
১৫। শিশু কিশোরদের মেধার বিকাশ, সুকুমার বৃত্তিচর্চা এবং সর্বোপরি বিনোদনের জন্য জন্য একটি পার্ক গড়ে তোলার পরিকল্পনা রয়েছে আমার।
এছাড়া শহীদ মনু মিয়া,ড, জিসি দেবসহ শহীদদের স্মৃতি রক্ষায় কার্যকর উদ্যোগ নেবেন।
তিনি আগামী ১৫জুনের নির্বাচনে বিয়ানীবাজারের সবর্স্তরের নাগরিকদের সমর্থন প্রত্যাশা করেন। তাকে হেলমেট প্রতীকে ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করার আহবান জানান।
ইশতেহারের পর আলোচনায় শিক্ষক সাংবাদিক ও প্রবাসী নেতৃবৃন্দ তাদের বক্তৃতায় ব্যাপক প্রশংসা করেন টিটুর উন্নয়ন পরিকল্পনার।