ভূমিকম্পে নিহত তুরস্কের গোলরক্ষক তুর্কাসলান

বাংলাভাষী ডেস্কঃঃ

সোমবারের ভূমিকম্পে মারা গেছেন তুরস্কের গোলরক্ষক আহমেত ইয়েপ তুর্কাসলান। তার ক্লাব ইয়েনি মালাতিয়াসপোর মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।

বুধবার (৮ ফেব্রুয়ারি) ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

ক্লাবের এক টুইট বার্তায় বলা হয়েছে, ‘ভূমিকম্পের পর ধ্বংসস্তুপের নিচে চাপা পড়ে আমাদের গোলরক্ষক আহমেত ইয়েপ তুর্কাসলান মারা গেছেন। তার আত্মার শান্তি কামনা করি।’

এতে আরও বলা হয়েছে, ‘আমরা তোমাকে ভুলব না। তুমি সুন্দর ব্যক্তিত্বের অধিকারী।’

তুরস্কের দ্বিতীয় বিভাগের ক্লাব মালাতিয়াসপোরে ২০২১ সালে যোগ দিয়েছিলেন ২৮ বছর বয়সী তুর্কাসলান। এই ক্লাবের হয়ে তিনি ছয়টি ম্যাচ খেলেছেন।

ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের ক্লাব ক্রিস্টাল প্যালেস ও এভার্টনের সাবেক উইঙ্গার, বর্তমানে তুরস্কের দ্বিতীয় বিভাগের দল চাইকু রিজেসপোর-এ খেলা ইয়ানিক বোলাইজ টুইটারে বলেন, ‘আহমেত এইয়ুপ তুর্কাসলান ভাই তোমার আত্মার শান্তি কামনা করছি। মনে হচ্ছে যেন এই মুহূর্তে আমি তাকে ডাগআউটে দেখতে পাচ্ছি। এরপর মনে হচ্ছে সে নাই, চলে গেছে।’

তুরস্কের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের গাজিয়ানতেপে সিরিয়া সীমান্তের কাছে শক্তিশালী এ ভূমিকম্পে মৃত্যুর সংখ্যা পৌঁছেছে ৭ হাজার ৮০০ জনে। তবে এ সংখ্যা আরও অনেক বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। কারণ এখনো ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকে পড়ে আছেন হাজার হাজার মানুষ।

তুরস্কে আনুষ্ঠানিকভাবে ৫ হাজার ৮৯৪ জন মারা যাওয়ার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। অপরদিকে, সিরিয়ায় ১ হাজার ৯৩২ জন প্রাণ হারিয়েছেন। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) জানিয়েছে, ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা ২০ হাজারও ছাড়িয়ে যেতে পারে।

এর আগে সোমবার (৬ জানুয়ারি) স্থানীয় সময় ভোর ৪টা ১৭ মিনিটে তুরস্ক-সিরিয়ার সীমান্তবর্তী অঞ্চলে ৭ দশমিক ৮ মাত্রার ভয়াবহ ভূমিকম্প আঘাত হানে। সেসময় দেশ দুটির অধিকাংশ মানুষ গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন ছিলেন। এরপর ৭ দশমিক ৬ মাত্রার এবং বেশ কয়েকটি আফটারশকে লণ্ডভণ্ড হয়ে যায় সিরিয়ার একটি অঞ্চল। এ ছাড়া তুরস্কের অন্তত ১০টি শহর বিধ্বস্ত হয়। এরই মধ্যে এসব শহরে তিন মাসের জরুরি অবস্থা জারি করেছেন প্রেসিডেন্ট রিপেস তাইয়্যেপ এরদোয়ান।

মার্কিন ভূ-তাত্ত্বিক জরিপ সংস্থার তথ্য বলছে, তুরস্ক, সিরিয়ার পাশাপাশি সাইপ্রাস, লেবানন, ইসরায়েল, মিশরেও অনুভূত হয়েছে ভূমিকম্পটি। এর কয়েক ঘণ্টার মধ্যে ৭ দশমিক ৫ মাত্রার কম্পনসহ শতাধিক আফটারশক আঘাত হেনেছে ওই অঞ্চলে।