ভালোবাসার গোলাপ রক্তে ফোটে
নর্মদা চৌধুরী
আমার ভালোবাসার গোলাপ আজো রক্তে ফোটে,
ধমণীর স্রোতে মাঝে মাঝে ঠোঁট ভিজে যায়;
প্রেমিক চোখের দিকে একটানা তাকানোর সাহস পায়নি যে প্রেমিকা !
আমি তার নিরব দৃষ্টিতে না বলা কথা হতে চাই !
তোমার অভিমানী এক আকাশ মেঘের আড়ালে হারিয়ে গেছে যার অনেক না বলা কথা,
আমি তার বুক চিড়ে বাজপাখির মতো উপরে উঠবো.....
অনেকটা উপরে।
অপেক্ষায় থাকবো কখন মেঘ ভেঙে
বৃষ্টি পড়বে অঝোরে,
আমি বৃষ্টিভেজা প্রেমিক শহরের রাস্তায়
হেঁটে যেতে যেতে ভিজিয়ে নেব আপাদমস্তক, অভিমানী বৃষ্টিতে নিজেকে।
তোমার জন্য আস্ত একটা জীবন উপহার দিতে পারবো না কোনদিন !
পারবো না কখনো দুচোখে অবহেলার অশ্রু ঝরাতে !
তবুও শুধু তোমাকেই ভালোবাসি বলে
পারবো না প্রতারনার শিকলে আষ্টেপৃষ্ঠে বেঁধে রাখতে ।
প্রেম কখনো শর্তে হয়না প্রিয়তমা !
যদি নিঃশর্তে নিঃস্বার্থে কখনো
পারো বলতে !
যেদিন আমাদের সব না বলা কথাগুলো শব্দ হারিয়েও একে অপরের কাছে হবে প্রকাশিত অনায়াসে.......
সেই দিন আমি নয়,
তুমিও নয়,
আমরা ফোটাবো গোলাপ একে অপরের রক্তে।
জন্ম হবে!
একটা চিরন্তন রাতের আধমরা শব্দ থেকে
কয়েকটি শ্বাশ্বত কবিতার।
খসে পড়া পাপড়ির গায়ে রক্তের দাগ লেগে থাকবে না কোনদিন!
যদিও আমার ভালোবাসার গোলাপ ফুটেছিল রক্তে।