রুদ্ররূপ রুদ্রকে বড় প্রয়োজন হাসান ফরিদ

রুদ্ররূপ রুদ্রকে বড় প্রয়োজন  হাসান ফরিদ

হাসান ফরিদ

হো হো করে হেসে ওঠা চে গুয়েভারার অগ্নিবোল ফোটা;

একনাগাড়ে সিগারেট ঠোঁটে গোঁজা, ধূমকেতুর ধূম ওড়ানো দ্রোহী-বিদ্রোহীর ছবি, রোমান্টিক কবি রুদ্রকে আজ বড় প্রয়োজন...

তারুণ্যের জ্বলন্ত চুলায় টগবগে ফোটা, নায়েগ্রা জলপ্রপাতের মতো উদ্দাম ছোটা এক কিংশুক যুবক—

আধুনিক পরিপাটি কেতাদুরস্ত এক কবিতার, বিশুদ্ধ প্রেমিক; 

কবিতার সঙ্গে ছিল যার বসবাস, ঘরদোর বিছানাপত্র বালিশ কিংবা বেসিন ব্রাশ, বাউডি বাতাসে সমুদ্রবিলাসে উড়নচণ্ডী সহবাস; সব কিছুতেই ছিল যার কবিতার ছোঁয়া...সত্য আর সুন্দরে ধোয়া...

কবিতা দিয়ে হৃদয় জয় কি বিশ্ব বিজয়; সমাজ বদলের হাতিয়ার কবিতা, স্বপ্নদ্রোহে, কি স্বপ্ননির্মাণেও কবিতা; এমনি ব্রতে সমর্পিত স্বপ্নবানে প্লাবনে প্লাবী কবি—খুব বেশি প্রয়োজন আজ তোমাকে...

আজ এ-ই অস্থির অবক্ষয়ের ক্ষয়িষ্ণু সময়ের; জড়া আর খরার তীব্র দাহনকালে— রুদ্রদীপরূপে কৃষ্ণচূড়া রাজপথে বিপ্লবীর স্বরূপে শ্রমে আর ঘামে সংগ্রামে রুদ্ররূপ রুদ্রকে খুব প্রয়োজন...

মূর্তিমান বিমূর্ত নীরবতার শিকল ভাঙা রাঙা সকালের নরম আদুরে হাত, যে কবি মুহূর্তেই ধরে; নিয়ে যেত স্বর্গের

সিঁড়িতে করে লাল পাহাড়ে; লাল বেনারসি ভালোবাসায়, আকাশের সীমানায় উড়াত পতাকার মতো প্রেমিকার লাল আঁচল...মাখিয়ে স্বপ্নের কাজল...

শহিদমিনার স্বাধীনতাস্তম্ভ চারুকলা টিএসসি-হাকিম কি দোয়েল চত্বর

অপরাজয় ভাস্কর্য মধুর কেন্টিন কি জাতীয় গ্রন্থাগার ; শাহবাগের জাগরণ মঞ্চ কি বটমূল রমনার;

সহোরাওয়ার্দী উদ্যান কি নীলক্ষেতের পুরনো বইয়ের দোকান— 

কে খুঁজে না তোমাকে...স্মৃতির জ্বলজ্বলে চোখে...

যে কবিতা ভালোবাসে মিছিল আর স্লোগান পোস্টার আর ব্যানার ভালোবাসে;

প্রতিবাদ প্রতিরোধ প্রতিবিপ্লব ভালোবাসে—সেই খোঁজে তোমাকে...রুদ্ররূপ রুদ্রকবি...

ফুল পাখি শিশু, সাগর নদী ঝরনা—সবাই চিঠি লিখে আকাশের ঠিকানায়; এখনো তোমাকেই খোঁজে বাউলের একতারায়...সময়ের প্রয়োজনে...হৃদয়ের সুর-তানে...