রমজানে পণ্য মজুত করলেই ব্যবস্থা: বাণিজ্যমন্ত্রী

বাংলাভাষী ডেস্কঃঃ

বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, রমজানে যা প্রয়োজন তার চেয়ে বেশি পণ্য সরবরাহ আছ। তাই রমজানে পণ্যমূল্য স্থিতিশীল রাখতে বলা হচ্ছে। কেউ কোথাও মজুত করছে কি না তা দেখা হবে।

তিনি বলেন, ‘কেউ এ ধরনের মজুতদারি করে ধরা পড়লে শাস্তির আওতায় আসতে হবে।’

আগামীকাল (১৫ মার্চ) বিশ্ব ভোক্তা দিবস উপলক্ষে মঙ্গলবার (১৪ মার্চ) টিসিবি ভবনে ইপিবির সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন মন্ত্রী। ভোক্তা সংরক্ষণ অধিদপ্তর এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে।

জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ এইচ এম সফিকুজ্জামানের সভাপতিত্বে সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ।

এক প্রশ্নের জবাবে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, সংকটে কিছু সুযোগসন্ধানী সুযোগ নিয়ে থাকে। আমাদের সজাগ থাকতে হবে। চাপ কমাতে দেশে খাদ্য উৎপাদন বাড়াতে হবে। আবার ভোক্তারা যাতে হুমড়ি খেয়ে না পড়ে। কারণ, এটা করলে চাপ বাড়বে। তাই ক্রেতাদের সচেতন হতে হবে। দেশে চাহিদার তুলনায় বেশি পণ্য রয়েছে।

বাজার অস্থিতিশীল হলে বাজার কমিটিকে শাস্তির আওতায় আনতে কোনো সার্কুলার জারি করা হবে কিনা-এমন প্রশ্নের জবাবে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, যখন কোনো পণ্যের দাম বাড়ে-কমে তখন খুচরা ব্যবসায়ীরা মানে না। কিন্তু তা করতে বলা হচ্ছে। শাস্তিরও ব্যবস্থা করা হয়েছে।

দাম বাড়ানোর ব্যাপারে কাউকে এককভাবে দায়ী করা যাবে না। কারণ, অভিযানে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা যেমন জড়িত ধরা পড়ছে, বড় বড় প্রতিষ্ঠানে অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। তেলের দাম বাড়ানোর কারণে বিভিন্ন রিফাইনারি প্রতিষ্টানেও অভিযান করা হয়েছে। আবার নিত্যপণ্যের দাম বৃদ্ধির ব্যাপারে খাতুনগঞ্জেও অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে।

দেখেন আসলে সব সময় জেল জরিমানা করে চলে না। ডিম মুরগির দাম বাড়লে আমাদের গায়ে লাগে। গায়ে লাগে বলেই মাসুষ হা-হুতাশ করছে। এটা খারাপ কিছু না। আমরা চেষ্টা করছি পণ্যমূল্য স্থিতিশীল রাখার। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও বলেছেন, বিশ্ব পরিস্থিতি ভালো না। রমজানে বাজার স্থিতিশীল রাখতে কঠোর হতে বলেছেন। তাই আবারও আমরা রমজানের আগে ১৯ মার্চ ট্রাস্কফোর্সের মিটিং করব ।

অপর এক প্রশ্নের জবাবে টিপু মুনশি বলেছেন, ভোক্তাদের স্বার্থে ভোক্তা আইন করা হয়েছে। সবাই জানতে পারলে সরকার সার্থক। বিক্রেতারা যাতে সঠিক পথে থাকে সে ব্যবস্থা করা হচ্ছে বাজার স্থিতিশিীল রাখার জন্য। কারণ, সবসময় জেল-জরিমানা করে চলে না।

তিনি বলেন, আইনের মাধ্যমে ভোক্তা অধিকার রক্ষা করা হয়েছে। তাই সংসদ সদস্যদের সম্পৃক্ত করা হলে তাদের আবার আইন পড়তে হবে। এটা ঝামেলার কাজ। বাজার দেখভাল করতে সারা দেশে ভোক্তা অধিদপ্তরের লোকজন রয়েছে।