রেমিট্যান্স প্রবাহ কীভাবে সচল রাখা যায় তা ভাবার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর

বাংলাভাষী ডেস্কঃঃ

পবিত্র রমজান ও ঈদুল ফিতর উপলক্ষে দেশে প্রবাসী আয় বেড়েছে। তবে এতে উল্লসিত না হতে বলেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। কারণ, ঈদের পর তাতে আবার ভাটা পড়তে পারে, এ জন্য রেমিট্যান্স প্রবাহ কীভাবে সচল রাখা যায়, সেটা নিয়ে ভাবতে সংশ্লিষ্টদের প্রতি নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।

মঙ্গলবার (১১ এপ্রিল) অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) বৈঠকে এসব নির্দেশনা দেন প্রধানমন্ত্রী। বৈঠক শেষে এ ব্যাপারে ব্রিফ করেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান। এসময় পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলমসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

একনেক বৈঠকে প্রায় ১৩ হাজার ৬৫৫ কোটি ৯৮ লাখ টাকা ব্যয়ে ১১টি প্রকল্পের অনুমোদন দেওয়া হয়।

প্রবাসী আয়ের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এখন রেমিট্যান্স বেড়েছে রোজা ও ঈদের কারণে। তবে আগামীতে এই ধারা থাকবে না। পরে কোরবানির ঈদের আগে হয়ত আবারও একটু বাড়তে পারে। এজন্য বর্তমানে রেমিট্যান্স বেড়ে যাওয়ায় উল্লসিত না হয়ে সতর্ক হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।

প্রধানমন্ত্রীর অনুশাসন তুলে ধরে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, অর্থনীতিতে গৃহস্থালি কাজের অবদান স্বীকার করতে হবে। প্রধানমন্ত্রী এই বিষয়ে আমাদের অনুশাসন দিয়েছেন। মোট দেশজ উৎপাদনে (জিডিপি) গৃহস্থালি কাজে নারীর অবদান হিসাব করার নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। এ বছর না হলে আগামী বছরের বাজেটে জিডিপিতে গৃহস্থালি কাজের হিসাব করা হবে।

তিনি বলেছেন, গৃহস্থালি কাজটা এমন মেয়েদের ছুটি নেই, বেতন নেই, বোনাস নেই, বিশ্রাম নেই। সমুদ্রের নীল অর্থনীতি (ব্লু ইকোনমি) কাজে লাগানোর নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। শিশু পল্লির ছেলে-মেয়েদের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে কারিগরি শিক্ষার আওতায় আনার নির্দেশনাও দেন সরকারপ্রধান।

এসময় স্লুইস গেট নিয়ে বিরক্তি প্রকাশ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, হাওরে আর সড়ক হবে না, উড়াল সড়ক হবে। তবে আধা হাওরে সড়ক হতে হবে। পানির চাপে সড়ক ভেঙে যায়, যেখানে পানির চাপ বেশি সেখানে কালভার্ট নির্মাণ করতে হবে।

ব্রিফিংয়ের সময় আরও উপস্থিত ছিলেন পরিকল্পনা সচিব সত্যজিত কর্মকার, আইএমইডির সচিব আবুল কাশেম মো. মহিউদ্দিন, ভৌত অবকাঠামো বিভাগের সদস্য এমদাদউল্লাহ সহ আরও অনেকে।