রায়হান গ্রুপের হাতে খুন হন ফারদিন: র‍্যাব

রায়হান গ্রুপের হাতে খুন হন ফারদিন: র‍্যাব

বাংলাভাষী ডেস্কঃঃ

বুয়েট শিক্ষার্থী ফারদিন নূর পরশ নারায়ণগঞ্জের চনপাড়ার চিহ্নিত অপরাধী গ্যাং লিডার রায়হান গ্রুপের হাতে খুন হয়েছে এমনটাই বলছে র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)।

মঙ্গলবার (১৫ নভেম্বর) রাতে র‍্যাব সদর দপ্তরের একটি বিশ্বস্ত সূত্র এসব তথ্য নিশ্চিত করেছে।

গোয়েন্দা তথ্য বলছে, নারায়ণগঞ্জের চনপাড়ায় বুয়েটছাত্র ফারদিনের কিলিং মিশনে অংশ নেয় ১০-১২ জন। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সোর্স ভেবেই তাকে খুন করা হয়। হত্যায় জড়িতরা সবাই চিহ্নিত অপরাধী।

জানতে চাইলে র‍্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, ফারদিন হত্যায় কারা জড়িত তাদের আমরা শনাক্ত করেছি। তার হত্যায় রায়হান গ্রুপের সম্পৃক্ততা রয়েছে বলে আমরা সন্দেহ করছি। রায়হানের বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটি মামলা রয়েছে। সে চনপাড়ায় মাদকের সঙ্গে জড়িত।

গত ৪ নভেম্বর রাত পৌনে ২টা থেকে আড়াইটার মধ্যে পরশকে হত্যার ঘটনা ঘটে। এলাকার কয়েকটি সিসি ক্যামেরার ফুটেজে ঘটনায় জড়িত একাধিক ব্যক্তি ও মরদেহ সরিয়ে নিতে ব্যবহৃত একটি প্রাইভেট কার দেখা গেছে। এদিন রাত ১টা ২৮ মিনিটে ৬ যুবক চনপাড়ার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের গলি থেকে বেরিয়ে চনপাড়া-রূপগঞ্জ মূল সড়কে উঠে হাতের বাঁয়ে মোড় নিয়ে ১ নম্বর ওয়ার্ডের দিকে চলে যান। ১টা ৫১ মিনিটে তারা আবার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের দিকে ফিরে আসেন।

গোয়েন্দা তথ্য বলছে, রাত ২টা ২৩ মিনিটে ৪ যুবক বালু ব্রিজ এলাকা থেকে ৬ নম্বর ওয়ার্ডে আসেন। এরপর ২০ মিনিটে একাধিক যুবক ঘটনাস্থলের দিকে যান। রাত ২টা ৪৪ মিনিটে ২ যুবক গলির মুখে এসে পায়চারি করতে থাকেন। ২টা ৫২ মিনিটে বালু ব্রিজ এলাকা থেকে দ্রুতগতির একটি সাদা রঙের টয়োটা এক্সিও গাড়ি এসে ৬ নম্বরের দিকে যায়। একই সঙ্গে গলির মুখে পাহারা দেওয়া ২ যুবক গলি থেকে বেরিয়ে যান। এর ঠিক ১১ মিনিট পর দ্রুত গতিতে সাদা প্রাইভেট কারটি ৬ নম্বর ওয়ার্ড থেকে বেরিয়ে যেদিক থেকে এসেছিল ঠিক সেদিকেই অর্থাৎ বালু ব্রিজের দিকে চলে যায়। গাড়িটি ৬ নম্বর ওয়ার্ডের গলি অতিক্রমের সময় দুইজন গাড়ির দুই পাশ দিয়ে হেঁটে গাড়িটিকে গলি পার করে দেন।

কমান্ডার আল মঈন বলেন, ফারদিনের বেড়ে উঠা চনপাড়া থেকে বেশি দূরে না। এটা পর্যালোচনা করা হচ্ছে। হত্যাকাণ্ড চনপাড়াতেই হয়েছে এটা নিশ্চিত। যাদের নাম আসছে সবাইকে নজরদারিতে রাখা হয়েছে। এখনো তদন্ত চলছে। বলার মতো সময় আসলে আমরা বলব।

এ বিষয়ে শিক্ষার্থী ফারদিন নূর পরশের বাবা কাজী নূর উদ্দিন ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, আমি চনপাড়ার অপরাধী গ্যাংয়ের নেতা রায়হানকে চিনি না। বা তাকে কখনো দেখিনি। তবে আমারও মনে হচ্ছে এই হত্যাকাণ্ড চনপাড়ার আশপাশে হয়েছে। তিনি বলেন, আমি আমার সন্তান হত্যার বিচার চাই।