রুশ জেনারেল সুরোভিকিন গ্রেপ্তার

বাংলাভাষী ডেস্ক :

ওয়াগনার ভাড়াটে বাহিনীর বিদ্রোহের সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকার অভিযোগে রুশ জেনারেল সের্গেই সুরোভিকিনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। জেনারেল সুরোভিকিন ছিলেন ইউক্রেন মিশনে দ্বিতীয় শীর্ষ কমান্ডার।

রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ দুটি সূত্রের উদ্ধৃতি দিয়ে দ্য মস্কো টাইমস বুধবার জানায়, বিদ্রোহের সময় ওয়াগনার বাহিনীর প্রধান ইয়েভগেনি প্রিগোঝিনের পক্ষ নেয়ায় সুরোভিকিনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। রাশিয়ার এক সামরিক ব্লগার ভ্লাদিমির রোমানভও সুরোভিকিনকে গ্রেপ্তারের বিষয়টি জানিয়েছেন। ওই ব্লগার জানান, বিদ্রোহের পর রুশ সামরিক বাহিনী ব্যাপক শুদ্ধি অভিযান শুরু হয়েছে। তবে এ ব্যাপারে রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় কোনো মন্তব্য করেনি।

বার্তা সংস্থা রয়টার্স তিন মার্কিন কর্মকর্তার উদ্ধৃতি দিয়ে জানায়, সুরোভিকিন ওয়াগনার বিদ্রোহের প্রতি সহানুভূতিশীল ছিলেন। তবে তিনি সক্রিয়ভাবে তাতে সহায়তা করেছিলেন কিনা তা স্পষ্ট নয়।

তবে নিউ ইয়র্ক টাইমসের খবরে বলা হয়েছে, সুরোভিকিন বিদ্রোহের কথা আগেই জানতেন। কিন্তু তিনি তা তার উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানাননি।

গত শুক্রবার (২৩ জুন) রুশ সামরিক নেতাদের উৎখাতের ডাক দিয়ে সশস্ত্র বিদ্রোহ ঘোষণা করেন ওয়াগনার প্রধান ইয়েভজেনি প্রিগোজিন। পরদিন শনিবার (২৪ জুন) তার যোদ্ধারা ইউক্রেন সীমান্ত পেরিয়ে রাশিয়ার রাজধানী মস্কো অভিমুখে অভিযাত্রা শুরু করে। তবে ওইদিন রাতেই ঘটনা নাটকীয় মোড় নেয়। বেলারুশের প্রেসিডেন্ট আলেক্সান্দার লুকাশেঙ্কার মধ্যস্থতায় এ অভিযাত্রা বন্ধ করতে সম্মত হন প্রিগোজিন। সমঝোতায় বলা হয়, প্রিগোজিন বেলারুশে চলে যাবেন। বিদ্রোহের কারণে তার ও তার যোদ্ধাদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ প্রত্যাহার করা হবে।

২০২২ সালে ইউক্রেন অভিযানকালে সুরোভিকিনকে যখন রুশ বাহিনীর কমান্ডার নিয়োগ করা হয়, তখন এই নিয়োগে ব্যাপক উচ্ছ্বসিত হন প্রিগোজিন। সে সময় তাকে ‘কিংবদন্তি ব্যক্তিত্ব’ ও ‘জন্মভূমির সেবা করার জন্যই তার জন্ম’ প্রভৃতি বাক্যে প্রশংসা করেন তিনি। ‍