সুইজারল্যান্ড থেকে এলএনজি, দুবাই থেকে গম কিনছে সরকার

বাংলাভাষী ডেস্ক::

সুইজারল্যান্ড থেকে এক কার্গো বা ৩৩ লাখ ৬০ হাজার এমএমবিটিইউ কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। সেই সঙ্গে সংযুক্ত আরব আমিরাতের রাজধানী দুবাই’র একটি প্রতিষ্ঠান থেকে ৫০ হাজার মেট্রিক টন গম কেনার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এ বিষয়ে অনুমোদন দিয়েছে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি।

বুধবার (৮ নভেম্বর) অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সভাপতিত্বে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি’র এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভা শেষে সভার সিদ্ধান্ত জানান মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব সাঈদ মাহবুব খান।

তিনি জানান, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাবের প্রেক্ষিতে পেট্রোবাংলা কর্তৃক সুইজারল্যান্ডের এম/এস টোটাল ইঞ্জিনিয়ারিং গ্যাস অ্যান্ড পাওয়ার লিমিটেডের নিকট থেকে ৩৩ লাখ ৬০ হাজার এমএমবিটিইউ এলএনজি আমদানির অনুমোদন দেয়া হয়েছে। এতে ব্যয় হবে ৭১৩ কোটি ১ লাখ ৭৪ হাজার ৬৮৮ টাকা।

অপরদিকে খাদ্য মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাবের প্রেক্ষিতে খাদ্য অধিদপ্তর কর্তৃক আন্তর্জাতিক উন্মুক্ত দরপত্রের মাধ্যমে প্যাকেজ-৪ এর আওতায় ৫০ হাজার মেট্রিক টন গম কেনার অনুমোদন দেয়া হয়েছে। দুবাইয়ের এম/এস গ্রাইন ফ্লাওয়ার ডিএমসিসি’র নিকট থেকে ১৬২ কোটি ৯৫ লাখ ৯৮ হাজার ৭৫০ টাকায় এই গম আমদানির অনুমোদন দেয়া হয়েছে।

এছাড়া সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের অধীন বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষ কর্তৃক মাদারীপুরের শিবচরে ‘শেখ হাসিনা ইনস্টিটিউট অব ফ্রনটিয়ার টেকনোলজি (শিফট)-এর প্রাথমিক অবকাঠামো নির্মাণ’ প্রকল্পের পূর্ত কাজ যৌথভাবে ওয়েস্টার্ণ ইঞ্জিনিয়ারিং প্রাইভেট লিমিটেড এবং ওয়াহিদ কনস্ট্রাকশন লিমিটেড-কে দেয়ার অনুমোদন দেয়া হয়েছে। এতে ব্যয় হবে ৩১২ কোটি ৫৩ লাখ ৩ হাজার ৩২৮ টাকা।

স্থানীয় সরকার বিভাগের প্রস্তাবের প্রেক্ষিতে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর কর্তৃক ইম্প্রুভমেন্ট আরবান গভর্নেন্স অ্যান্ড ইনফ্রাস্ট্রাকচার প্রজেক্ট’র পরামর্শক প্রতিষ্ঠান হিসেবে যৌথভাবে ডিডিসি, ডিবিএমসি বাংলাদেশ এবং আরপিএমসি-কে নিয়োগ দেয়ার অনুমোদন দেয়া হয়েছে। এতে ব্যয় হবে ১০৯ কোটি ৪২ লাখ ২১ হাজার ৭৪৯ টাকা।

এদিকে অর্থমন্ত্রীর সভাপতিত্বে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকের পাশাপাশি অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। ওই বৈঠকে দুটি প্রস্তাব উপস্থান করা হয়। দু’টিই অনুমোদন দেয়া হয়েছে।

এর মধ্যে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের অধীন রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ কর্তৃক ‘পূর্বাচল নতুন শহর (ইউসুফগঞ্জ) (২য় সংশোধিত)’ প্রকল্পের অভ্যন্তরীণ রাস্তা ও সারফেস ড্রেন, ৪৩ কি.মি. লেক পাড়ের পার্শ্ববর্তী সাইকেল ট্র্যাক ও ওয়াকওয়ে উন্নয়ন, পার্ক/ইকোপার্কের অভ্যন্তরে ওয়াকওয়ে, স্ল্যুইস গেট, স্টাফ কোয়ার্টার, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান, কাঁচা বাজার/মার্কেট এবং কনভেনশন হল নির্মাণ কাজ সরাসরি ক্রয় পদ্ধতিতে সম্পাদনের নীতিগত অনুমোদন দেয়া হয়েছে।

এর এক প্রস্তাবের প্রেক্ষিতে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের অধীন গণযোগাযোগ অধিদপ্তর কর্তৃক ‘প্রান্তিক পর্যায়ে উন্নয়ন প্রচার’ প্রকল্পের আওতায় ‘উন্নয়ন অগ্রযাত্রায় অপ্রতিরোধ্য বাংলাদেশ শিরোনামে আউটরিচ প্রোগ্রাম’ সরসরি ক্রয় পদ্ধতিতে সম্পাদনের নীতিগত অনুমোদন দেয়া হয়েছে।