সিত্রাং’ এর কারনে সন্ধ্যা থেকে ওসমানী বিমান বন্দরে ফ্লাইট চলাচল বিঘ্নিত

সিত্রাং’ এর কারনে সন্ধ্যা থেকে ওসমানী বিমান বন্দরে ফ্লাইট চলাচল বিঘ্নিত

বাংলাভাষী ডেস্ক 

ঘূর্ণিঝড় ‌‘সিত্রাং’র কারণে বাংলাদেশ বিমানের সিলেট-ঢাকা রুটে সোমবার দিনের শেষে ৩ টি ফ্লাইট বাতিল ঘোষণা করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরের সিভিল এভিয়েশনের পরিচালক মোহাম্মদ হাফিজ আহমদ।আবহাওয়া খারাপ হওয়ায় বিজি ৬০৫ ও বিজি ৬০৬ ফ্লাইট বাতিল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ বিমান। তিনি জানান চেন্নাই এবং সিঙ্গাপুর থেকে ৩ টি ফ্লাইট হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে সিত্রাং এর কারনে অবতরণ করতে না পেরে সিলেট ওসমানী বিমান বন্দরে অবতরণ করেছে।এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ৩ টির মধ্যে ২ টি ফ্লাইট সিলেট থেকে ছেড়ে গিয়ে ঢাকায় অবতরণের চেষ্টায় আছে আর একটি সম্ভবত সিলেটে রাত্রি যাপন করবে বলে জানালেন বিমান বন্দর পরিচালক হাফিজ আহমদ।তিনি বলেন যে কারনে একটি হ-য-ব-র-ল অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।
উল্লেখ্য,এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত বাংলাদেশ উপকূলে আঘাত হেনেছে  ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং
ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের অগ্রভাগ আঘাত হেনেছে বাংলাদেশের উপকূলে।সোমবার সন্ধ্যায় উপকূল স্পর্শ করার সঙ্গে সঙ্গে প্রবল ঝোড়ো বাতাস ও বৃষ্টি শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।  
ঘণ্টায় ৮০ থেকে ৯০ কিলোমিটার গতির বাতাসের শক্তি নিয়ে বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের মাঝামাঝি এলাকায় উপকূল অতিক্রম করেছে ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং। ঘূর্ণিঝড়ের মূল অংশ আজ মধ্যরাতে বরিশাল ও চট্টগ্রামের উপকূল অতিক্রম করবে।
ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের কারণে ইতিমধ্যে আবহাওয়া অধিদপ্তর থেকে মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ৭ নম্বর বিপৎসংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। এ ছাড়া খুলনা, বাগেরহাট, সাতক্ষীরা, বরিশাল, ঝালকাঠি, ভোলা, পটুয়াখালী, পিরোজপুর, বরগুনা, লক্ষ্মীপুর, ফেনী, চাঁদপুর ও নোয়াখালী জেলা এবং ওই এলাকার দ্বীপ ও চরগুলোকেও ৭ নম্বর বিপৎসংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। 
এ ছাড়া চট্টগ্রাম বন্দর ও কক্সবাজার উপকূল এবং সেখানকার চর ও দ্বীপগুলোকে ৬ নম্বর বিপৎসংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
আবহাওয়ার বিশেষ বুলেটিনে বলা হয়েছে, সোমবার সন্ধ্যা ৬টায় চট্টগ্রাম ঘূর্ণিঝড় সমুদ্রবন্দর থেকে ২৭৫ কিলোমিটার দক্ষিণপশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ২৪০ কিলোমিটার দক্ষিণ পশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ২২০ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ১৭০ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে অবস্থান করছিল।
এ ঝড়ের ব্যাস ৪০০ থেকে ৫০০ কিলোমিটার। ফলে এর বর্ধিতাংশ ইতোমধ্যে স্থলভাগে তাণ্ডব চালাতে শুরু করেছে।