স্পর্শনীয়

স্পর্শনীয়

 সঞ্জয় কুমার কর্মকার

বিদ্রোহের পাশে নক্ষত্রের মতন জেগেছিলাম সিংহের আকৃতি নিয়ে, হতাশা থেকে মুক্তি এলো,জলন্ত শিখার উষ্ণতা মেখে কতোকাল ফানুস হয়ে উড়ে গিয়েছি আমি।

ধরো আমার অঙ্গুরি হে ধরণীতল, ধরো বাতাস, ধরো আমার সিদ্ধি, যোগ্য মূল-কন্দের সাধনার অনুরূপ ।

এখন ছায়াছন্ন পথে ভুবন জরিয়ে হেঁটে যেতে চাই স্পর্শনীয় চেনা ঠিকানায়, এক নিমেষেই দেখি রৌদ্রদগ্ধ দ্রুত পদধ্বনিতে মধ্যাহ্নের আগমন, ছন্নছাড়া উদাসীন দীপ্তিময়ের দিগন্তে ছুটে আসে ফুটন্ত রক্তপলাশের শোভা, পথের ওপর বিষণ্ন চোখে শুধুই তাকিয়ে থাকি।

মুক্তিপ্রাপ্ত হৃদয়, সাঝেঁর বেলায় রাঙা গোধূলির আলো,তবে কী আবার সেই কীর্তি আনন্দ ঘিরে মাটির পথে মাদল বেজে এলো।

অসমাপ্ত একটা মুখ সাদৃশ্য রূপে বাহ্য আভাস দিয়ে সবুজ বৃক্ষের সাথে জড়িয়ে নিতে চায়।

আমার আঁধার ঘরে ভেঙে গেলো সব রদ্যাঁর ভাস্কর্যের ছবি, মুছে গেলো সকল দুঃখের কবিতা।

চারিপাশে অরণ্যের শিলা,অসংখ্য চাঁদের বর্ণের ভেতর বইছে সোনালি জলের ধারা...

 আজও ভীষণ প্রতীক্ষায় থাকি আশাহত রাঙা অভিমানে।।