সৌম্যকে ফেরাতে চায় টিম ম্যানেজমেন্ট

বাংলাভাষী ডেস্ক :

ঘরোয়া ক্রিকেট, জাতীয় দল দুই জায়গাতেই সৌম্য সরকার নিজেকে হারিয়ে খুঁজছেন গেল দুই বছর ধরে। ধারাবাহিকতার অভাবে জাতীয় দল থেকে ছিটকে যাওয়া সৌম্যকে শেষ সুযোগ দিতেই ইমার্জিং এশিয়া কাপের দলে রেখেছেন হেড কোচ চান্ডিকা হাথুরুসিংহে। প্রিয় শীষ্যকে দলে ফেরাতে রীতিমতো মরিয়া তিনি।

ইমার্জিং এশিয়া কাপে সৌম্যের পারফরম্যান্সের উপর নির্ভর করছে জাতীয় দলে তার ভবিষ্যৎ। জাতীয় দলে যদি তিনি ফেরেনও, ওপেনার হিসেবে নামতে পারবেন না মাঠে। কেননা টিম ম্যানেজমেন্ট তাকে চাচ্ছে ফিনিশার সৌম্য হিসেবে, যেখানে ব্যাটিংয়ের পাশাপাশি বোলিং দিয়েও দলকে সাপোর্ট দিতে হবে।

সেই দিক দিয়ে এমার্জিং দলকে বেশ ভালোই সাপোর্ট দিতে দেখা যাচ্ছে বাঁহাতি এই ব্যাটারকে। খেলছেন দলে মিডল অর্ডার হিসেবে ছয় নম্বরে। ব্যাট হাতে রান পাওয়ার পাশাপাশি বল হাতেও পাচ্ছেন উইকেট।

সৌম্যের এই ধারাবাহিকতা যদি টুর্নামেন্টের শেষ পর্যন্ত থাকে, তবে তাকে এশিয়া কাপের জন্য ভাবনায় রাখতেই পারে টিম ম্যানেজমেন্ট, কেননা বোর্ড যেমন চায় ঠিক তেমন সার্ভিসই আসছে সৌম্যের কাছ থেকে।

পরিসংখ্যান বলছে বাঁহাতি এই ব্যাটার যখন অফ ফর্ম থেকে ফর্মে ফেরেন তখন সেটি ধরে রাখেন বছরখানেকের জন্য। এরপর আবার তিনি হারিয়ে যান অফ ফর্মের অতল গহ্বরে।

২০১৫ সালটা ছিল সৌম্যের জন্য স্বপ্নের মতো। ১৫ ম্যাচে এক সেঞ্চুরি ও চার ফিফটির মাধ্যমে তিনি সে বছর করেছিলেন ৬৭২ রান। কিন্তু পরের দুই বছরে অফ ফর্মের কালো ছায়া ঘিরে ধরে তাকে। ২০১৬-১৭ মৌসুমে ১৬ ম্যাচে তার ব্যাট থেকে আসে মাত্র ২৭৫ রান

পরের বছরেই ফের স্বরুপে ফেরেন বাঁহাতি এই ব্যাটার। ২০১৮-১৯ মৌসুমে ২৩ ম্যাচ খেলে সৌম্য ৩৩.০৮ গড়ে করেন ৭৬১ রান। যেখানে ছিল পাঁচটি অর্ধশতক ও একটি সেঞ্চুরি। কোভিডের পর ২০২১ সালে ওয়ানডে ফরম্যাটে ফিরলেও তার স্থায়িত্ব ছিল চার ম্যাচ। এরপর এখন পর্যন্ত জাতীয় দলে তাকে দেখা যায়নি।

হাথুরু দলের দায়িত্ব নেয়ার পর সৌম্য যে দলে ফিরবেন সেটি অনেকটাই অনুমেয় ছিল। তবে ফিরতে হলে তাকে যেই কঠিন পরীক্ষা দিতে হবে সেটিও সকলের জানা ছিল।জ

এখন দেখার বিষয় কঠিন সেই পরীক্ষায় উৎরে গিয়ে জাতীয় দলে ফেরা আদৌ কি সম্ভব হয় সৌম্যর পক্ষে, না অফ ফর্মে থেকেই কাটিয়ে দেবেন আরও লম্বা সময়।