সিলেটে বিশ্বজয়ী ক্বোরআনে হাফেজ আবু তালহার গণ সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত

বাংলাভাষী ডেস্ক :


আমাদেরকে রাসুলের আদর্শ মেনে চলতে হবে। তবেই শান্তি প্রতিষ্ঠা সম্ভব। পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আব্দুল মোমেন সর্বক্ষেত্রে রাসুল (সাঃ) এর আদর্শ অনুস্মরণ করার জন্য আহবান জানিয়ে বলেছেন, মদীনা সনদ অনুযায়ী সব মানুষ একটি রাষ্ট্রে সম্পূর্ণ নিরাপদ। যারা অশান্তি সৃষ্টি করে , জঙ্গিবাদে জড়ায় তারা ইসলামের অনুসারী নয়। এরা ইসলামের ক্ষতি করছে। এসব দুস্কৃতকারীদের বিরুদ্ধে আলেম সমাজকে সোচ্চার হতে হবে, সজাগ থাকতে হবে। তিনি বলেন, আবু তালহা শুধু সিলেটের নয়,বিশ্বের দরবারে বাংলাদেশের মুখ উজ্জল করেছে। তার জন্য কি করা যায় সে বিষযে আমি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলাপ করব।
তিনি গতকাল শুক্রবার বিকেলে নগরের মেন্দিবাগস্থ জালালাবাদ গ্যাস অডিটোরিয়ামে বিশ্বজয়ী ক্বোরআনে হাফেজ আবু তালহাকে দেয়া গণ সংবর্ধনা অনুষ্টানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপরোক্ত কথাগুলো বলেন। 
সংবর্ধণা বাস্তবায়ন পরিষদের সভাপতি মাছিমপুর মাদরাসার পরিচালক এবং নাইওরপুল জামে মসজিদের ইমাম ও খতিব হাফিজ মাওলানা শায়খ নাজমুদ্দিন ক্বাসিমীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সংবর্ধণায় বিশেষ অতিথি ছিলেন ভার্থখলা মাদরাসার মুহতামিম জাতীয় সংসদের সাবেক বিরোধীদলীয় হুইপ আলহাজ্ব সেলিম উদ্দিন, সাবেক সংসদ সদস্য মাওলানা শাহীনুর পাশা চৌধুরী , ইসলামিক স্কলার মাওলানা ড. শোয়াইব আহমদ, আল-হারামাইন হসপিটালের ভাইস-চেয়ারম্যান হাফিজ ওলিউর রহমান বিশিষ্ট আলেম মাওলানা রেজ্উাল করিম জালালী, যুক্তরাজ্য প্রবাসী শিক্ষানুরাগী মাওলানা গোলাম কিবরিয়া,  যুক্তরাজ্য প্রবাসী আলেমে দ্বীন মাওলানা এনামুল হাসান ছাবির, মাওলানা আতাউর রহমান কোম্পানীগঞ্জী, মাওলানা মখলিছুর রহমান, সিলেট চেম্বারের সহ সভাপতি ফালাহ উদ্দিন আলী আহমদ , মেট্রোপলিটন চেম্বারের ভাইস প্রেসিডেন্ট আব্দুল জব্বার জলিল, বীর মুক্তিযোদ্ধা আকরম আলী। শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন রশীদ আহমদ । অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন মাওলানা শিব্বির আহমদ এবং সার্বিক সহযোগীতায় জেডআর ফাউন্ডেশন। 
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে হাফিজ মাওলানা মউজদুদ্দিন বলেন, আবু তালহাকে অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, তোমাকে আরও এগুতে হবে। ক্বোরআনের খেদমতে আমাদের আরও বেশী করে আবু তালহা তৈরী করা দরকার। ঘরে ঘরে ক্বোরআনে হাফেজ তৈরীর উপর তিনি গুরুত্বারোপ করেন।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে সাবেক বিরোধীদলীয় হুইপ আলহাজ্ব সেলিম উদ্দিন তার বক্তব্যে সুইডেনে ক্বোরআন পোঁড়ানোর ঘটনায় নিন্দা জানিয়ে বলেন, আবু তালহার মতো ক্বোরআনের পাখিরা দুনিয়া জুড়ে এর মর্যাদা বাড়াচ্ছে। তাদের কদর করা উচিত। তিনি বলেন, আমার নির্বাচনী এলাকার সন্তান  হাফিজ আবু তালহার এমন বিজয়ে আমি গর্বিত,আমরা গর্বিত। তাকে অভিনন্দন জানাই। ভবিষ্যতে তার কাছ থেকে আরও ভালো কিছু প্রত্যাশা করেন তিনি। 
সাবেক সাংসদ মাওলানা শাহীনুর পাশা চৌধুরী তাঁর বক্তব্যে বলেন, বিশ্বে বাংলাদেশের যে কেউ কোনো কৃতিত্ব অর্জন করলে বাংলাদেশে রাষ্ট্রীয়ভাবে পুরস্কুত করা হয়। কিন্ত বর্তমান সরকার,কিংবা আগের সরকার কেউই বিশ্বজয়ী হাফেজদের রাষ্ট্রীয় ভাবে সম্মান জানায়নি, তিনি এ ব্যাপারে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।
অনুষ্ঠানের শুরুতে ক্বোরআন তেলাওয়াত করেন হাফিজ আরিফুল ইসলাম রাকিব। অনুষ্ঠানের মাঝে মাঝে ইসলামী সংগীত পরিবেশন করেন শিল্পীরা। বিশেষ করে মাছিমপুর মাদরাসার শিক্ষার্থীদের মনোমুগ্ধকর যৌথ সংগীত পরিবেশনায় অনুষ্ঠানে সুরের মুর্চ্ছনায় মুগ্ধ হন উপস্থিত সূধীজন। অনুষ্ঠান শেষে বিশ্বজয়ী ক্বোরআনে হাফেজ আবু তালহা তেলাওয়াত শুণে মুগ্ধ হয়ে বাড়ী ফেরেন অনুষ্ঠানে আগতরা।