সিলেটে শ্বাসরুদ্ধ করে শিশুকে হত্যার পর মায়ের আত্মসমর্পন !

সিলেটে শ্বাসরুদ্ধ করে শিশুকে হত্যার পর মায়ের আত্মসমর্পন !

বাংলাভাষী ডেস্ক::

সিলেটে শ্বাসরুদ্ধ করে নিজের এক বছর ৫ মাস বয়সী মেয়েকে হত্যার পর থানায় আত্মসমর্পন করেছেন নাজমিন আক্তার নামের এক নারী।

বুধবার দুপুরে সিলেট নগরের শাহপরাণ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে বলে জানায় পুলিশ। নিহত শিশুর নাম সাবিহা আক্তার। বিকেলে হাসপাতাল থেকে নাজমিনকে কতোয়ালি থানায় নিয়ে আসে পুলিশ। নাজমিনের স্বামী সাব্বির আহমদকেও আটক করেছে পুলিশ।

পারিবাহিক কলহের জেরে সাবিহাকে বালিশ চাপা দিয়ে ও শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যা করেন বলে থানায় উপস্থিত গণমাধ্যম কর্মীদের জানান নাজমিন।

এর আগেও একটি বিয়ে হয়েছিলো নাজনিনের। সেই সংসারে তার একটি সন্তান রয়েছে।

থানায় উপস্থিত গণমাধ্যম কর্মীদের কাছে নাজমিন বলেন, বিয়ের পর আমার স্বামী বিদেশ চলে যায়। এরপর চার বছর পর দেশে ফিরে। কিন্তু বিদেশ থাকা অবস্থায় তিনি আমার ভরণ পোষণের দায়িত্ব নেননি। দেশে ফিরে আমাকে অনেক বুঝিয়ে আবার সংসার শুরু করেন তিনি। তখন আমি গর্ভবতী হই। আমাকে গর্ভবতী রেখেই তিনি আবার কাতার চলে যান।

নাজমিন অভিযো্গ করে বলেন, বিদেশে গিয়ে সাব্বির অভিযোগ করেন আমার গর্ভের সন্তান তার নয়। আমি তখন ডিএনএ টেস্ট করার কথা বলি। কিন্তু সাব্বির ও তার তার পরিবার আমার বিরুদ্ধে কুৎসা রটাতে থাকে।

মেয়ের চেহেরা অবিকল তার বাবার মতো হয়েছে জানিয়ে নাজমিন বলেন, সাব্বির ১৫ দিন আগে দেশে এসেছেন। কিন্তু একবারও মেয়েকে দেখতে আসেননি। বরং আমার বিরুদ্ধে নানা অপপ্রচার করছেন। এই দুঃখে আমি আমার মেয়েকে হত্যা করেছি।

নিজের মেয়েকে হত্যার দায় স্বীকার করে নাজমিন বলেন, আমি কাউকে ফাঁসাবো না। সাব্বিরকেও ফাঁসাবো না। তাকে ফাঁসালেও সে কম শাস্তিতে পার পেয়ে যাবে। তার বিচার আল্লাহ করবেন। আমি আমার মেয়েকে খুন করছি। আমার ফাঁসি হোক।

পরে প্রতিবেশিরা মেয়েকে নিয়ে ওসমানী হাসপাতালে আসেন বলে জানান এই নারী।

পারিবাহিক কলহের জেরে সাবিহাকে গলা টিপে তার মা নাজমিন হত্যা করেন জানিয়ে কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ আলী মাহমুদ বলেন, নাজমিনকে আমরা থানায় নিয়ে এসেছি। তার স্বামীকেও আটক করেছি। ঘটনাটি যেহেতু শাহপরান থানা এলাকার তাই শাহপরান থানা পুলিশকে খবর দিয়েছি। তারাই আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।

নিহত শিশুর মরদেহ ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে বলে জানান ওসি।