২২ জেলায় ভারী বর্ষণের পূর্বাভাস

বাংলাভাষী ডেস্ক :

দেশের ২২টি জেলার ওপর দিয়ে মৃদু তাপপ্রবাহ বয়ে যাওয়ার আভাস দিয়ে আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে ভারী বর্ষণও হতে পারে। সোমবার (৩১ জুলাই) সকালে আবহাওয়ার পূর্বাভাসে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

সংস্থাটি বলছে, গতকাল দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে রংপুরে ৩৭.০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ ছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় আজ সকাল ৬টা পর্যন্ত দেশের সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে টাঙ্গাইলে ৫৬ মিলিমিটার।

আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, ঢাকা, টাঙ্গাইল, মাদারীপুর, রংপুর, নেত্রকোনা, রাঙ্গামাটি, কুমিল্লা, ফেনী, যশোর ও কুষ্টিয়া জেলা এবং রাজশাহী বিভাগের ৮টি জেলা ও সিলেট বিভাগের ৪টি জেলাসহ মোট ২২টি জেলার ওপর দিয়ে মৃদু তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা কিছু কিছু জায়গা হতে প্রশমিত হতে পারে।

সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের অধিকাংশ জায়গায়; রাজশাহী ও ঢাকা বিভাগের অনেক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে ভারী বর্ষণ হতে পারে। এ ছাড়া পরবর্তী তিন দিনে বৃষ্টিপাতের প্রবণতাও বৃদ্ধি পেতে পারে।

আবহাওয়া অধিদপ্তর জানায়, গতকাল উল্লেখযোগ্য তাপমাত্রার মধ্যে টাঙ্গাইল, চুয়াডাঙ্গা, রাঙ্গামাটি ও বদলগাছীতে ৩৬.৮ ডিগ্রি, ঢাকায় ৩৬.৭ ডিগ্রি, রাজশাহীত ও শ্রীমঙ্গলে ৩৬.৬ ডিগ্রি, মোংলায় ৩৬.৫ ডিগ্রি, ঈশ্বরদী ও বগুড়ায় ৩৬.৩ ডিগ্রি, সিলেট ও যশোরে ৩৬.২ ডিগ্রি, মাদারীপুর, তাড়াশ, নেত্রকোনা, ও কুমিল্লা ও সীতাকুণ্ডে ৩৬.০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। আর আজকের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল কুতুবদিয়া ২৫.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ ছাড়া উল্লেখযোগ বৃষ্টিপাতের মধ্যে সন্দ্বীপে ৩১ মিলিমিটার, হাতিয়ায় ৩০ মিলিমিটার, চট্টগ্রামে ১৮ মিলিমিটার, টেকনাফে ১৭ মিলিমিটার, ডিমলায় ১৪ মিলিমিটার ও বান্দরবানে ১৩ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়।

পূর্বাভাসে আরও বলা হয়েছে, গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গ উপকূল এবং তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত লঘুচাপটি বর্তমানে ঘণীভূত হয়ে সুস্পষ্ট লঘুচাপ আকারে উত্তর বঙ্গোপসাগরের মধ্যাঞ্চল ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। মৌসুমি বায়ুর অক্ষ পাঞ্জাব, হরিয়ানা, উত্তর প্রদেশ, বিহার, গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গ, সুষ্পষ্ট লঘুচাপের কেন্দ্রস্থল এবং বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চল হয়ে আসাম পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। মৌসুমি বায়ু বাংলাদেশের ওপর মোটামুটি সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে মাঝারি অবস্থায় রয়েছে।