তারাবির নামাজ পড়িয়ে টাকা নেয়া কি জায়েজ

তারাবির নামাজ পড়িয়ে টাকা  নেয়া কি জায়েজ

ওলিউর রাহমান খান 

সালাতুত তারাবিহ  রমজান মাসের বিশেষ একটি ইবাদত। মাহে রমজানে রাতের বেলায় এশার ফরজ ও সুন্নত নামাজের পরে বেতরের আগে তারাবির নামাজ আদায় করতে হয়। তারাবি আরবি শব্দটি ‘তারবিহাতুন’ মূল ধাতু থেকে উদ্ভূত। এর আভিধানিক অর্থ ইস্তিরাহাত বা আরাম করা, বিশ্রাম নেওয়া ইত্যাদি। যেহেতু ২০ রাকাত তারাবির নামাজ প্রতি চার রাকাত অন্তর চার রাকাত নামাজের সমপরিমাণ সময় বিরতি দিয়ে আরামের সঙ্গে আদায় করা হয়, সে জন্য এ নামাজকে তারাবির নামাজ বলা হয়ll
 রোজার সঙ্গে তারাবিহর নামাজের সম্পর্কও সুনিবিড়। প্রিয় নবীজি (সা.) ইরশাদ করেছেন, ‘নিশ্চয়ই আল্লাহ তাআলা তোমাদের প্রতি রোজা ফরজ করেছেন, আর আমি তোমাদের জন্য তারাবিহ নামাজকে সুন্নাত করেছি; যে ব্যক্তি ইমানের সঙ্গে সওয়াবের আশায় রমাদানে দিনে রোজা পালন করবে ও রাতে তারাবিহ নামাজ আদায় করবে, সে গুনাহ থেকে এরূপ পবিত্র হবে, যেরূপ নবজাতক শিশু মাতৃগর্ভ থেকে নিষ্পাপ অবস্থায় ভূমিষ্ঠ হয়।’ (নাসায়ী, পৃষ্ঠা: ২৩৯)।
তারাবির নামাজ যেহেতু  গুরুত্বপূর্ণ একটি নামাজ তাই অনেকের মনে প্রশ্ন জাগে 
তারাবির নামাজ পড়িয়ে টাকা নেয়া জায়েজ কি ?
আমাদের দেশে কিংবা বহি:বিশ্বে অনেক দেশে তারাবির নামাজ পড়িয়ে টাকা দেয়া নেয়ার  প্রচলন রয়েছে 
কাউকে কাজ করিয়ে  কোন  কিছু দেওয়া হাদিয়া কিংবা তোহফা হিসাবে গণ্য করা হয় l

এখন প্রশ্ন হলো তারাবীহ  নামাজ পড়িয়ে হুজরত দেয়া জায়েজ আছে কি না ?
খতম  তারাবিহ  হোক কিংবা সূরা   তারাবিহ  l
তারাবীহর নামাজ পড়িয়ে  টাকার লেনদেন হারাম (কেফায়েতুল মুফতি 
রাহমাতিয়া,মাহমুদিয়া)
৫ওয়াক্ত ফরজ নামাজ পড়িয়ে  টাকা  নেয়া যায় কিন্তু তারাবিহর নামাজ পড়িয়ে  টাকা নেওয়া হারাম l
তাহলে হাফিজ সাহেবরা চলবেন কিভাবে ?  উপায় কি ?
বেশিরভাগ ওলামাদের মতে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়িয়ে টাকা নেওয়া যেহেতু  হালাল সেহেতু রামাদ্বান উপলক্ষে 
একটা মসজিদে একের অধিক ইমাম  রাখা যায় 
বায়তুল  মোকাররমে প্রায় সাতজন আছেন 
একটি মসজিদে যদি একজন ইমাম  থাকেন তবুও রামাদানের ওসিলায় আরেকজন রেখে দেওয়া যায় l
এবং তিনি অন্তত  দুই এক ওয়াক্তের ইমামতির দায়িত্ব নিয়ে নামাজ পড়ান এবং সাথে তারাবীহ নামাজ পড়ান 
তাহলে ওনাকে টাকা দেয়া এবং নেয়া  জায়েজ হবে ll
তারাবীহ নামাযের মাধ্যমে, আমরা আল্লাহর  সাথে একটি শক্তিশালী আধ্যাত্মিক সংযোগ সহ অসংখ্য শারীরিক ও আধ্যাত্মিক উপকার পেতে পারি। এই রমজানে, আসুন আমরা এই রাতের সালাত আদায় করার অঙ্গীকার করি। আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা আমাদের দোয়া কবুল করুন, আমীন!