ফি ছাড়া আর রাতারগুলে প্রবেশ করা যাবে না
নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
সিলেটের অন্যতম পর্যটক আকর্ষণীয় স্থান গোয়াইনঘাট উপজেলার জলারবন রাতারগুলে প্রবেশ, ভিডিও ধারণ ও নৌকা ভ্রমণের ক্ষেত্রে সরকারকে ফি দিতে হবে। এরই মধ্যে ফি নির্ধারণ করে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। গত ২৯ অক্টোবর এই গেজেট প্রকাশ করা হয়েছে।
প্রজ্ঞাপন বলা হয়েছে, রাতারগুল বিশেষ জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ এলাকায় প্রবেশের ক্ষেত্রে প্রাপ্ত বয়স্কদের প্রবেশ ফি ৫০ টাকা, অপ্রাপ্তবয়স্ক (১২ বছরের নিচে) ও পরিচয়পত্রধারী ছাত্রছাত্রীদের প্রবেশ ফি ২৫ টাকা। বিদেশি নাগরিকদের প্রবেশ ফি ৫০০ টাকা। প্রতিদিনের ফিল্মমিং ফি (প্রতি ক্যামেরা) ১০ হাজার টাকা।
দেশি দর্শনার্থীদের প্রতিবার নৌকা (ইঞ্জিনবিহীন) ভ্রমণের ক্ষেত্রে ১০০ টাকা দিতে হবে। এক্ষেত্রে বিদেশিদের দিতে হবে এক হাজার টাকা। এ ছাড়া বাস বা ট্রাকের প্রতিবারের পার্কিং ফি ২০০ টাকা। পিকআপ/জিপ/কার/মাইক্রোবাস পার্কিং ফি ১০০ টাকা এবং সিএনজি/মোটরসাইকেল পার্কিং ফি ২৫ টাকা। অর্থ মন্ত্রণালয়ের অনুমোদনের পর এই ফি নির্ধারণ করেছে পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়।
রাতারগুল জলারবকন (সোয়াম্প ফরেস্ট) বাংলাদেশের বিরল মিঠাপানির জলারবন এবং বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য। এই বনের মোট আয়তন প্রায় সোয়া ৩ হাজার একর। এর মধ্যে ৫০৪ একর বনকে ১৯৭৩ সালে বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য হিসেবে ঘোষণা করা হয়। এছাড়া ২০৪.২৫ হেক্টর বনভুমিকে ২০১৫ সালে বাংলাদেশের বন অধিদপ্তর বিশেষ জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ এলাকা ঘোষণা করে। এটি পৃথিবীর মাত্র কয়েকটি জলাবনের মধ্যে অন্যতম একটি।
এতোদিন কোনো ফি ছাড়াই বিনামূল্যে রাতারগুলে প্রবেশ করতে পারতেন দর্শনার্থীরা। গত কয়েক বছরে এই বনটি ভ্রমণবিলাসীদের অন্যতম প্রিয় স্থান হিসেবে পরিচিত হয়ে উঠেছে। প্রতিদিন সেখানে হাজারো পর্যটক ভিড় করেন, ছুটির দিনে সেই সংখ্যা বেড়ে চার-পাঁচ হাজার ছাড়িয়ে যায়।
রাতালগুল পর্যটকের চাপ নিতে পারছে না বলে বন বিভাগের কর্মকর্তারা বলে আসছিলেন। সেজন্য সেখানে পর্যটকদের নিয়ন্ত্রণের উদ্যোগ নেওয়ার কথাও ভাবছিলেন তারা। প্রসঙ্গত, করোনাভাইরাস মহামারীর মধ্যে গত ২৬ মার্চ থেকে রাতারগুলে দর্শনার্থীদের প্রবেশে কড়াকড়ি থাকলেও ১ নভেম্বর থেকে তা উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়েছে।