কাজিরবাজার-মাছিমপুর দিয়ে সিলেট নগরীতে প্রবেশ করছে সুরমার পানি

কাজিরবাজার-মাছিমপুর দিয়ে সিলেট নগরীতে প্রবেশ করছে সুরমার পানি

বাংলাভাষী ডেস্কঃঃ

সুরমা নদী উপচে পানি প্রবেশ করছে সিলেট মহানগরীর বিভিন্ন পাড়া মহল্লায়। এ অবস্থায় মানুষের ভোগান্তি চরম আকার ধারণ করেছে। 

নগরীর মাছিমপুরের বাসিন্দা সাংবাদিক সুনীল সিংহ সোমবার রাত সাড়ে ১২টায় জানান, সুরমার পানি উপচে রাতে তার বাসায় পানি প্রবেশ করেছে। তার উঠানে হাঁটু সমান পানি। আর শুটকি বাজারের রাস্তায় কোমর সমান পানি। পাড়ার রাস্তা-ঘাট পানির নিচে। মাছিমপুর ও ছড়ারপারে অনেক বাড়ি-ঘরে পানি প্রবেশ করেছে। এ অবস্থায় স্থানীয় বাসিন্দারা আতংকের মধ্যে রয়েছেন।

এদিকে, নগরীর তালতলা এলাকায় বিরাজ করছে হাঁটু সমান পানি। নগরীর উপশহর, সোবহানিঘাট, কালিঘাট, ছড়ারপাড়, শেখঘাট, তালতলা, মাছিমপুরসহ বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, এসব এলাকার বাসাবাড়ি, দোকানপাট ও বিভিন্ন স্থাপনায় পানি ঢুকে পড়ে। ওইসব এলাকার লোকজন জানান, সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখেন বাসার ভেতরে পানি ঢুকে পড়েছে। পুরো এলাকায় বন্যার পানি দেখা দেয়ায় আতংক বিরাজ করছে। জানা গেছে, নদী পানিতে ভরাট থাকায় ড্রেনের পানি নামছে না সুরমায়। পাড়ায় পাড়ায় ড্রেনের তরল বর্জ অলি-গলি পেরিয়ে বাসায় ঢুকতে শুরু করেছে। 

পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)-এর তথ্য অনুযায়ী, সোমবার বিকাল ৩টায় পর্যন্ত সিলেটে সুরমা নদীর পানি বিপদসীমা ছুঁই ছুঁই করে। সন্ধ্যা ৬টায় সুরমা নদীর পানি বিপদসীমার ১০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। রাতে পানি আরো বাড়তে থাকায় বিভিন্ন নালা দিয়ে নগরীতে পানি প্রবেশ করতে থাকে। 

এদিকে, সোমবার সন্ধ্যা ৬টায় সুরমার পানি সিলেটের কানাইঘাটে বিপদসীমার ১৪৩ সেন্টিমিটার, একই সময়ে কুশিয়ারার পানি অমলশীদে বিপদসীমার ১০৩ সেন্টিমিটার, শেওলায় কুশিয়ারা বিপদসীমার ৩৫ সেন্টিমিটার এবং জৈন্তাপুরে সারিঘাট নদীর পানি বিপদসীমার ২ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।