কোনো এক নদীর সাথে একান্ত আলাপ

কোনো এক নদীর সাথে একান্ত আলাপ
গোলাম কবির 
কেমন আছো জিগাইতেই নদী হাইসা উঠে
 শাঁকচুন্নি যেমনে হাসে হেরুম, 
কয় দেখতাছোনা আমার বুকে কী সোন্দর
 একখান কব্বরের লাহান পুল বানাইছে ম্যাইনষেরা, ভালা ক্যামনে থাহি বোঝনা,
 তয় জিগাও ক্যারে! 
হুনছিলাম অহন আর দেরি হইবো না
 রাস্তায়, যানজট থাকবো না বাড়ি যাওনের
 সময়, তাই তো বানাইছে পুল। 
নদী আবার হাইসা ওঠে খিলখিল কইরা,
 মনে হয় কান্দে য্যান! 
আমি জিগাই, তয় হাসতাছো ক্যারে! 
নদী কয়, মন খুইল্লা হাসতে ও পারতাম না,
 কানতেও পারতাম না তুমরার জ্বালায়!
 তারপর একটু য্যান শ্বাস ফালাইয়া কয়,
 অহন দেখতাছো বাইচা রইছি, ইচ্ছামতো
 ঘুরিঘারি নিজের যেদিক যাইবার মন চায়।
 দেখবা একসময় আমি মইরা যামু 
এই পুল হওনের লাইগ্গা, আমার চলার গতি
 শাসন কইরাই তো তুমরা বানাইতাছো 
এই আদমের কব্বরের লাহান বিশাল পুল, আমারে কী আর তহন পাইবা অহনকার
 লাহান, মইরা ভুত হইয়া যামু না? 
হেসুম কার লগে খেলবা, কার বুকে সুখে
 দুঃখে ঝাপাইয়া পইড়া সান্ত্বনা খুঁজবা! 
হেই দুঃখে ও সুখেই অহন কানতাছি 
মরণের আগে, তাও যদি তুমরার হুঁস হয়!