কুম্ভ গহনে
নূরজাহান শিল্পী
তুমি এলে জীবনের এক অবাক বিকেল জুড়ে
প্রত্যাশার তৃষিত ইচ্ছায়
হেরে গেল কুম্ভ রাশির কন্যা
অমানিশার সহস্র রাত্রির অলিপথ পেরিয়ে প্রত্যুষের সূর্যোদয়ে
নিজেকে খুঁজে নিলো মেষ রাশির বেহালার তানে
কবিতার মিছিলে হরিদ্রাভ আলোয়।
আয়নায় দাঁড়িয়ে সেই লাজুক ক্ষণে
নির্লিপ্ত আলিঙ্গনে মায়া-মাখা এক ইন্দ্রজালে
প্রিয় বারান্দায় ম্যাগনোলিয়ার ফিসফিস কথনে
ছুঁয়ে দিলে প্রিয় নাকছাবিতে পূর্ণিমা খেলে গেল
শব্দ জাগা প্রকম্পনে কথাকলি জেগে উঠলো
বশীকরণের মন্ত্রে মূর্ত হলো অজস্র বিস্ময়।
অনিয়ন্ত্রিত জলজোছনায় ভেসে যেতে লাগলো বিহঙ্গের কলরব।
ঠোঁটের কার্নিশে প্রজাপতি মন উড়ে যায় সুদূর আকাশ ভেঙ্গে
স্তব্ধ দুপুর পালাতে চায় পদ্ম পরাগের নিরুত্তাপ শিশিরে
ভৈরবী সুর বাজে নুপুরের গুঞ্জনে।
আমি ভালোবাসা ভাঁজ করি শিলালিপিতে
সেই থেকে হিমাদ্রি অনুরাগে নিরব প্রাণে বয়ে চলে বাহুডোরে দ্বিখন্ডনের দহন।