ছায়াবৃক্ষ পিতা-মাতা

ছায়াবৃক্ষ পিতা-মাতা

এম এ হালিম শিশির 

বৃক্ষ যদি পায় তার প্রাণের সজীবতা;

তার দেহ জড়ানো শাখা-প্রশাখা পাবে মসৃণতা। 

মা-বাবা নামের বৃক্ষ হলে বৃদ্ধ, তাদের প্রতি অবহেলা নয়, করো একটু আদর যত্ন।

ছোট্ট চারাগাছ ক্রয় করে লাগাও বাড়ির আঙিনায়;

তার থেকে ছায়া আর ফল পাবে এই আশায়।

নবজাতক শিশু হ'য়ে এলে যখন জন্মদাত্রীর দেহের পাঁজরগুলো ভেঙে, 

আর রক্তের স্রোতে ভেসে আলোক ধরায়,

তবুও মা জননী ব্যথা লুকিয়ে হেসেছে তোমায় দেখিয়ে। 

তোমাকে দেখার অপেক্ষায় মুখভর্তি হাসি লুকিয়ে প্রার্থনা'রত বাবা বলেছে সৃষ্টিকর্তা কে সুস্থ এবং সুসন্তান দাও আমাকে।

তোমাকে পেয়ে পিতা-মাতার বিষাদের ব্যথাক্ষণে উঠলো হাসির ঝলকানি 

নিঃস্বার্থের এক নক্ষত্র তুমি যার নেই মূল্য জগৎ ভূমি।

আদর-সোহাগে, স্নেহ-মমতায় আজ তুমি কোটিপতি; 

তাদের তুলনায় তুমি ব্যারিষ্টার হয়েও পথের ধূলি। 

চারাগাছ যত্নের অভাবে যদি মরে যায় পাবে না ফল আর ছায়া; 

পিতা-মাতাকে অঙ্গালামী করে মনে রেখো একাল ওকালে পাবে'না কোথাও নিখুঁত শান্তির কায়া।

নিজের বেড়ে উঠা শুশ্রূষা মনে করে পিতামাতাকে রেখো একি আলোয়;

জন্মদাত্রীর সুখের আয়োজন মিলবে তোমার দো-জাহানে শান্তির স্পর্শ!!